বর্ষা স্যাঁতস্যাতে আবহাওয়া পোকমাকড় ও পরজীবীর সংক্রমণ বেড়ে যায়। বাড়িরর ছোট-বড় থেকে শুরু করে পোষা প্রাণীরও পরজীবীর সংক্রমণ হতে পারে। ফলে চুলকানি, লোম ঝরে যাওয়া, ঘা হতে পারে। অনেক সময় পোকার কামড়ে জ্বরও আসতে পারে পোষ্যের। তাই এই আবহাওয়ায় আদরের পোষ্যকে সুস্থ রাখতে চাই বাড়তি যত্ন ও সতর্কতা।
পরজীবী সংক্রমণ থেকে বাচাঁতে পোষা প্রাণীর যত্ন নেবেন যেভাবে-
- বিড়াল, কুকুরের ক্ষেত্রে বাড়ির সবচেয়ে ঠান্ডা স্থানটি দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকলে আরও ভালো। তবে সরাসরি রোদ পড়ে, এমন জায়গায় রাখা যাবে না।
- পোষা প্রাণীর জন্য যে জায়গাটি নির্দিষ্ট করেছেন, সেই জায়গা ফিনাইল দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। পোষ্যের বিছানাপত্রও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
- পোষা কুকুর বা বিড়ালকে এক দিন পরপরই গোসল করানো যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন দ্রুতই গা শুকিয়ে দেওয়া হয়।পরজীবী কীট থেকে বাঁচতে গোসলের পাশাপাশি বিড়াল-কুকুরের লোম আঁচড়ে দিতে হবে।
- বাইরে থেকে এসেই পোষ্যের গায়ে হাত দিয়ে আদর করবেন না। আগে নিজে পরিষ্কার হয়ে নিন, তার পর ওকে ধরবেন। হাত ভাল করে স্যানিটাইজ় করে তবেই পোষ্যের কাছে যাবেন।
- কুকুরকে নিয়ে যখন হাঁটতে বেরোবেন, তখন কাঁদা বা পানিতে ডোবা জায়গা এড়িয়ে চলুন। বাড়ি ফিরে আসার পর কুকুরের থাবাগুলি পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে দেবেন, যাতে ময়লা লেগে না থাকে।
- পোষ্যের গলায় যদি বেল্ট পরানোর কলার থাকে, তা হলে সেটি খুলে পরিষ্কার করুন। সবসময় ‘কলার’ না পরিয়ে রাখাই ভাল। কারণ ‘কলার’ পরিয়ে রাখা জায়গায় পরজীবীর সংক্রমণ আগে হতে পারে।