• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রতারক মানুষকে কীভাবে চিনবেন?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৪, ০৯:৩৬ পিএম
প্রতারক মানুষকে কীভাবে চিনবেন?
ছবি: সংগৃহীত

‘মানুষ চেনা বড়ই দায়’- হতাশার এই বাক্য প্রায়ই লোকমুখে শোনা যায়। কেউ বিশ্বাসঘাতকরা করলে কিংবা কারো দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হলে মানুষ নিরুপায় হয়ে এই হতাশার কথা বলেন। সব মানুষ একই রকম নয়। একেক জনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য একেক রকম। এরমধ্যে ভালো-খারাপ চরিত্রের মানুষ রয়েছে। কিন্তু এতো মানুষের ভিড়ে ভালো-মন্দ চরিত্রের মানুষ বুঝে উঠা কষ্টকর। বিশেষ করে প্রতারক চরিত্রের মানুষগুলোকে চেনা যায় না সহজেই। কারণ তারা মুখে এক এবং অন্তরে আরেক ধারণা রাখে। অন্যের ক্ষতি করে। এই ধরনের মানুষকে কখনো বিশ্বাস করা উচিত নয়। কিন্তু তাদের শনাক্ত করবেন কীভাবে? প্রতারক মানুষের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার মাধ্যমে সহজেই চেনা যাবে। সাধারণত ৫ ধরনের প্রতারক আমাদের আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। যাদের শনাক্ত করবেন এই উপায়ে।

প্রতারকরা মানুষের সঙ্গে সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টায় থাকেন। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে নিজেদের চাহিদা পূরণ করেন। এই ধরণের প্রতারকরা মানুষকে তোষামোদ করতে পারদর্শী।

কিছু প্রতারক রয়েছেন যারা নম্র ও ভদ্র স্বভাবে। তাদের ভদ্রতার পেছনে প্রতারণা লুকিয়ে আছে। তাদের ব্যক্তিত্বে প্রতারণা ধরা পড়ে না। কিন্তু সুযোগ বুঝে তারা নিজের স্বার্থ ঠিকই আদায় করে নেন। এরজন্য অন্যের ক্ষতি করতেও তারা দ্বিধাবোধ করেন না। মানুষ তাদেরকে সহজেই বিশ্বাস করে। আর তারা সেই বিশ্বাসের সুযোগ নেন।

এক ধরণের প্রতারক মানুষ রয়েছে যারা অন্যের কাছে নিজেকে অসহায় উপস্থাপন করবে। নিজেকে দরিদ্র দেখাবে এবং সবসময় দুঃখে থাকার কথাই সবাইকে বলবে। অথচ তারা অন্যের কাছ থেকে নিজের স্বার্থ আদায় করতেই এমন ছলনার আশ্রয় নেন। তাদের কষ্টের কথা শুনে অন্যরা স্নেহ ও ভালবাসা দেন এবং পরবর্তী সময়ে ওই ব্যক্তি প্রতারণা করেন। বলা যায়, এদের বিশ্বাস করলেই আপনার ঘাড়ে কাঁঠাল ভেঙে খাবেন।

আরও এক ধরণের প্রতারকরা সুবিধাবাদী হয়। তারা নিজেদের সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দের কথাই বেশি চিন্তা করেন। অন্যদের বোকা বানিয়ে নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করেন। যেখানে নিজের স্বার্থে আঘাত লাগবে সেখান থেকে সে কেটে পড়েন। আর অন্যের ভালো কিছু তারা সহ্য করতে পারেন না। তাই সবসময় সুযোগ বুঝে অন্যের ক্ষতি করেন।

বিশেষজ্ঞরা জানান, পেশাদার কিছু প্রতারকও সমাজে রয়েছে। এরা স্বার্থের জন্য অন্যকে বিয়ে করেন কিংবা সম্পর্কে জড়ান। বিশেষ করে সম্পদশালী ডিভোর্সি বা সন্তানের বাবা বা মাকে বিয়ে করে সব হাতিয়ে নেন। সুযোগ বুঝে প্রতারকরা পালিয়েও যান। এরা পরের ধনেই রাজত্ব করতে চান। নিজের জীবনকে তারা এভাবেই কাটিয়ে দেন।

আবার বিয়ের পরেও প্রতারণা করেন অনেকে। পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করেন। তাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনাও থাকে না। বরং সঙ্গীর নামে অযথা মিথ্যে কথা রটিয়ে বিচ্ছেদ করেন। নতুন প্রেমিক বা প্রেমিকাকে বিয়ে করে নেন। তাদের সম্পর্কগুলো সেখানেও স্থায়ী হয় না।

 

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Link copied!