• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

পানির অপচয় রোধ করবেন যেভাবে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৫, ১০:০৭ পিএম
পানির অপচয় রোধ করবেন যেভাবে
ছবি: সংগৃহীত

পানি জীবনের অপরিহার্য উপাদান। পৃথিবীর তিন ভাগ পানি হলেও, তার খুব সামান্য অংশই মানুষের ব্যবহার উপযোগী। জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং দায়িত্বহীন ব্যবহারের কারণে পৃথিবীর অনেক দেশেই বিশুদ্ধ পানির সংকট দিন দিন বাড়ছে। এই সংকট মোকাবিলায় আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব আছে। আর সেই দায়িত্ব শুরু হয় পানি ব্যবহারে সচেতনতা ও অপচয় রোধের মধ্য দিয়ে।

বাংলাদেশে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। শহরাঞ্চলে বিশেষ করে ঢাকায় পানির স্তর ক্রমেই নিচে নেমে যাচ্ছে, যার ফলে পানি উত্তোলনে সময় ও ব্যয় উভয়ই বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে পানির অপচয় রোধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পানির অপচয় রোধে যা করবেন

ট্যাপ বন্ধ রাখুন
অনেকেই দাঁত ব্রাশ বা হাত ধোয়ার সময় ট্যাপ চালু রেখেই কাজ করেন। এটি একটি বড় অপচয়। কাজের সময় ট্যাপ বন্ধ রাখা এবং প্রয়োজনের সময় চালু করলেই প্রচুর পানি সাশ্রয় করা সম্ভব।

লিকেজ ঠিক করুন
বাসায় বা অফিসে যদি কোনো ট্যাপ বা পাইপ থেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়ে, তবে তা দিনের শেষে অনেক বড় অপচয়ে পরিণত হয়। তাই যেকোনো ধরনের লিকেজ দ্রুত মেরামত করা উচিত।

বালতি ব্যবহার করুন
গাড়ি বা উঠান ধোয়ার সময় পাইপের বদলে বালতি ব্যবহার করলে অনেক কম পানিতে কাজ শেষ করা সম্ভব। একইভাবে গোসলের সময়ও শাওয়ারের পরিবর্তে বালতির পানি ব্যবহার করে পানি সাশ্রয় করা যায়।

দ্রুত ফ্লাশ সিস্টেম ব্যবহার
টয়লেটের ফ্লাশ সিস্টেমে অপ্রয়োজনীয় পানি অপচয় হয়। ডুয়াল ফ্লাশ সিস্টেম ব্যবহার করলে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি ব্যবহার করা যায়।

ধোয়ার কৌশল
সব বাসন একসঙ্গে জড়ো করে, সাবান দিয়ে ঘষে পরে একবারে পানি দিয়ে ধুলে অনেক কম পানি লাগে। প্রতিটি বাসন ধোয়ার সময় ট্যাপ খোলা রাখলে অনেক পানি নষ্ট হয়।

গাছে নির্দিষ্ট সময় পানি দিন
গাছে সকালে বা সন্ধ্যায় পানি দিলে কম বাষ্পীভবন হয়, ফলে পানি অপচয় কম হয়। এছাড়াও ড্রিপ ইরিগেশন পদ্ধতি ব্যবহার করলে পানি সরাসরি গাছের গোড়ায় পৌঁছায় এবং অপচয় রোধ হয়।

পুনর্ব্যবহারযোগ্য পানি
বাসন ধোয়া বা কাপড় কাঁচা পানি অনেক সময় পুনরায় টয়লেট ফ্লাশ বা গাছের গোড়ায় ব্যবহার করা যায়। এভাবে পানি পুনর্ব্যবহার করে অপচয় রোধ করা সম্ভব।

সচেতনতা বৃদ্ধি
স্কুল, পরিবার ও সমাজের মধ্যে পানি সংরক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের ছোটবেলা থেকেই পানি অপচয় না করার শিক্ষা দিতে হবে।

প্রযুক্তির সাহায্যে পানি সাশ্রয়
বর্তমানে বাজারে এমন অনেক যন্ত্রপাতি পাওয়া যায় যেগুলো পানির অপচয় কমাতে সাহায্য করে, যেমন- অটো শাট-অফ ট্যাপ, ওয়াটার এফিশিয়েন্ট শাওয়ার হেড, স্মার্ট ওয়াশিং মেশিন।এই প্রযুক্তিগুলো ব্যবহারে একটু খরচ বেশি হলেও দীর্ঘমেয়াদে এটি পরিবেশ এবং খরচ দুই ক্ষেত্রেই উপকারী।

পানির অপচয় রোধ সবার দায়িত্ব। প্রতিদিনের ছোট ছোট অভ্যাস বদলেই অনেক মূল্যবান পানি সাশ্রয় করা সম্ভব।

Link copied!