এই গরমে স্বস্তি পেতে ফ্যানের বাতাসই যেন যথেষ্ট নয়। তাই বেশির ভাগ মানুষই ঠান্ডা হতে এয়ারকন্ডিশন বা এসি ব্যবহার করছেন। তবে দিনের বেশির ভাগ সময় এসিতে থাকা কিন্তু শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এসির মধ্যে থাকার কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলো না মানলে দেখা দিতে পারে বড় ধরনের জটিলতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর তাপমাত্রা কত থেকে কত এর মধ্যে রাখতে হবে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। না হলে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
আমাদের শরীরের হিট ম্যাকানিজম নামে একটি প্রক্রিয়া আছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাকৃতিক তাপমাত্রার সঙ্গে শরীর নিজেকে মানিয়ে নেয়। তবে এসি খুব কম তাপমাত্রায় চালানো থাকলে বাইরের সঙ্গে ঘরের তাপমাত্রার বিরাট পার্থক্য তৈরি হয়। এই কারণে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। এ ছাড়া অনেকেই বাইরে থেকে এসে সরাসরি এসিতে প্রবেশ করার ফলে দেহের তাপমাত্রা হুট করেই বদলে যাচ্ছে। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। সাধারণত ২২-২৮ এর মধ্যে এসির তাপমাত্রা রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
এই তাপমাত্রার মধ্যে শরীর নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। আবার সর্দি-জ্বর হওয়ার ঝুঁকিও কমে। তাই চেষ্টা করুন এই তাপমাত্রায় যেন এসি থাকে।
অন্যদিকে রাতে এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। অনেকেই এসির তাপমাত্রা রাতের বেলা ১৬-১৮-তে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এই অভ্যাস কিন্তু বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ, ঘুমিয়ে পড়ার পর শরীরের তাপমাত্রা কিন্তু ঠিকমতো নিয়ন্ত্রিত হয় না।
তাই ঠান্ডা বেশি হলে সকালে উঠে সমস্যা হতে পারে। রাতেও এসি চালিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ২২-২৮-এর মধ্যে তাপমাত্রা সেট করুন। সবচেয়ে ভালো হয়, ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে এসি বন্ধ করে দেওয়া।
যারা একান্তই এসির বাতাস নিতে পারেন না, তারা এর থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। আর অবশ্যই অ্যাজমা ও সিওপিডি রোগীরা সচেতন থাকুন।
যাদের এসি নেই, তারা এই গরমে এয়ারকুলার ব্যবহার করতে পারেন। এই যন্ত্রে পানি ঢালতে হয় বলে অনেকেই এয়ারকুলার পছন্দ করেন না। তবে এসির বিকল্প হিসেবে কুলার ব্যবহার করতে পারেন।