সময় বাঁচাতে অনেকেই পেঁয়াজ, আদা, রসুন বেশি করে কিনে রাখেন। কিন্তু দেখা যায় কয়েকদিন গেলেই পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। পচন ধরে পেয়াজে। আবার বাড়িতে পোকামাকড় থাকলে ছিদ্র করে দেয় তখন সেটাও নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বেশি করে কিনেও সুফল ভোগ করতে পারা যায় না। অবশ্য পেঁয়াজে তাড়াতাড়ি পচন ধরার কারণ আমাদেরই কিছু ভুল। ভুল ভাবে সংরক্ষণ করার কারণেই পেঁয়াজ নষ্ট হয়। তাহলে কীভাবে পেঁয়াজ তাজা রাখা যায়? চলুন পেঁয়াজ তাজা রাখার কিছু টিপস-
- বেশি করে পেঁয়াজ কিনে সংরক্ষণ করতে চাইলে কেনার সময় ভালো করে দেখে নিন। শক্ত, শুষ্ক এবং কোনো দাগ নেই এমন পেঁয়াজ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যেতে পারে। যে সব পেঁয়াজ নরম এবং গায়ে দাগ আছে, সেগুলো দ্রুত পচে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই ভালো করে দেখে কিনুন পেঁয়াজ।
- পেঁয়াজের জীবনচক্র দীর্ঘদিন ধরে রাখার জন্য, কিনে আনার পরই প্লাস্টিকের প্যাকেজিং থেকে বের করে ফেলতে হবে।
- ঠান্ডা ও শুষ্ক জায়গা বেছে নেওয়াই শ্রেয়। খুব বেশি রোদ আসে এমন জায়গায় পেঁয়াজ রাখা যাবে না। তবে অন্ধকার, স্যাঁতসেঁতে জায়গাতেও পেঁয়াজ রাখবেন না। আলো-বাতাস চলাচল করে, এমন জায়গায় ছড়িয়ে রাখতে হবে পেঁয়াজ।
- ঝুড়িতেও পেঁয়াজ ছড়িয়ে রাখলে অনেক দিন তাজা থাকবে। তবে পেঁয়াজের সঙ্গে একই ঝুড়িতে অন্য কিছু যেমন, আলু রাখলে পেঁয়াজ তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। তাই একই ঝুড়িতে আলু ও পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখবেন না।
- পচন ধরা দেখলে সেই পেঁয়াজগুলি আলাদা করে নিন। তার পর খোসা ছাড়িয়ে খারাপ অংশটুকু ফেলে বাকিটা লম্বা লম্বা কুচি করে কেটে নিন। এ বার ডুবো তেলে লাল করে ভেজে টিস্যু পেপারে তুলে রাখুন। তেল শুকিয়ে গেলে একটি পাত্রে ভরে ঠান্ডা করে নিন। ভেজে রাখা বেরেস্তা ফ্রিজে তুলে রাখুন। রান্নায় বেরেস্তা ব্যবহার করলে স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
- পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখবেন না, যদি কেটে ফেলেন, তা হলে তা প্লাস্টিকে মুড়ে বা বায়ুনিরুদ্ধ পাত্রে রেখে ফ্রিজে রাখা যেতে পারে।