সমাজ, পরিবার, আত্মীয় স্বজন নিয়েই আমাদের থাকতে হয়। কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে, কোনো কাজ করতে হলে প্রথমেই মাথায় আসে অন্যরা কী বলবে, কী ভাববে। অন্যের চোখে দৃষ্টিকটু লাগবে এমন কাজ করাই যাবে না। কিংবা অন্যদের কাছে যা গ্রহণযোগ্য নয়, তা কোনোভাবেই করা চলবে না। সমাজে বসবাসকারী কমবেশি সবার চিন্তাধারা এমনই। সেই সুবাদে আত্মীয় স্বজনরাও যেকোনো বিষয়ে নাক গলাতে কিংবা হস্তক্ষেপ করতে পছন্দ করেন। কোনো কিছু হলেই ছুটে আসেন। নিজেদের মন্তব্য জানান। অনেকে তো আবার কটু কথা বলতেও দ্বিধাবোধ করেন না। যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে দেয়। কিন্তু উপায় কী? আত্মীয়দের মুখের উপর কটু কথা বলতেও পারবেন না, আবার অত্যধিক কৌতূহলী আত্মীয়দের থেকে দূরে সরে থাকাও মুশকিল। তাই ভদ্রতা বজায় রেখেই পরিস্থিতি সামলে নিন।
সীমারেখা টানুন
নিজের ব্যক্তিগত বিষয়ে সূক্ষ্ম সীমারেখা টেনে নিন। ব্যক্তিগত সবকিছু কিংবা জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা উজাড় করে সবাইকে বলবেন না। এতে আপনার ব্যক্তিগত বিষয়গুলো আর ব্যক্তিগত থাকবে না। নিজের দুর্বলতা আত্মীয়ের কাছে ব্যক্ত করবেন না। যতটুকু বলা দরকার, ততটুকুই বলবেন। ব্যক্তিগত বিষয়ে অন্য কারো নাক গলানো আপনার পছন্দ নয় তা বুঝিয়ে দিন।
রেগে না যাওয়া
পরিস্থিতি বিগড়ে গেলে আত্মীয় কিংবা পরিচিতদের সঙ্গে তর্কে না জড়ানোই ভালো। নিজের রাগকে সংযত করুন। তর্কাতর্কির সম্ভাবনা দেখা দিলে সেখান থেকে সরে যান। আপত্তিকর কোনো শব্দ প্রয়োগ করবেন না। সম্পর্ক খারাপ দিকে যাবে এমন কোনো কথাও বলবেন না। আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
প্রসঙ্গ বদল
কারো অতিরিক্ত কৌতূহল দেখলে তা কৌশলে এড়িয়ে যান। কোনও আত্মীয় যদি কোনও বিষয়ে জানতে চান তবে কৌশলে সেই প্রসঙ্গ বদলে ফেলুন। অন্য কোনও বিষয়ে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করুন। মনে রাখবেন, আপনার এড়িয়ে যাওয়া যেন সে বুঝতে না পারে। নয়তো তিনি অসম্মান বোধ করবেন।
স্পষ্ট কথা বলুন
জীবনের যেকোনও সিদ্ধান্ত নিজেই নিন। আপনি এর জন্য প্রস্তুত তা সবাইকে জানিয়ে দিন। কারো কথা বা মন্তব্য নিয়ে অকারণে রেগে যাবেন না। কারো মতামতকে মর্যাদা দিন এবং বলুন, আপনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পছন্দ করবেন না। স্পষ্টভাবে কথা বলুন। হয়তো তিনি বুঝবেন এবং পরে কখনও আপনার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না।