বাসার একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা রান্নাঘর। তেল মসলার খেলা চলে সেখানে। যতই সাবধানতা অবলম্বন করুন না কেন, তেল, তরকারির ঝোল, ভাতের মাড়, মসলাবাটা—এটা-সেটা পড়বেই চুলার আশপাশে। তাছাড়া রান্নার ধোয়ার কারণেও ঘর তেল চিটচিটে হয়। সেসব পরিষ্কার করাও জরুরি। নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে রান্নাঘর। তাছাড়া ঝকঝকে রান্নাঘর পেতে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।
- রান্নার সময় পরিষ্কার কোনো কাপড় সামান্য ভিজিয়ে পাশে রাখুন। অনেক সময় রান্না করতে গেলে দেয়ালে কিংবা চুলার উপর তেল মসলা ছিটে পড়ে। এরকম কিছু ছিটে পড়লে ভেজা কাপড়টি দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে মুছে নিন। এতে রান্নাঘর পরিষ্কার রাখা সহজ হবে।
- রান্না করার পর সামান্য গরম পানিতে সাবান মিশিয়ে তাতে তোয়ালে ভিজিয়ে ক্যাবিনেট বা অন্যান্য আসবাব মুছে নিন। মাসে অন্তত একবার সাবান পানি দিয়ে ক্যাবিনেট পরিষ্কার করলে ভালো।
- প্রতিদিন হয়তো সময় হয় না রান্নাঘরের জিনিসপত্র পরিষ্কার করার। তবে মাসে অন্তত দু-তিনবার সব জিনিস পরিষ্কার করে ফেলতে পারেন। হালকা গরম পানিতে ডিটারজেন্ট ও একটু লেবুর রস বা কয়েক ফোঁটা ভিনেগার মিশিয়ে ওই পানি দিয়ে পরিষ্কার করলে ঝকঝকে হয়ে যাবে।
- এক কাপ হালকা গরম পানিতে পাঁচ চামচ ভিনিগার মিশিয়ে স্প্রে বোতলে পুরে নিন। মিশ্রণটি এমন ভাবে ক্যাবিনেটে ছড়ান যাতে পুরোপুরি না ভিজে যায়। কাঠের ক্যাবিনেট হলে এই উপায়ে পরিষ্কার করা সহজ হবে। স্প্রে করে মিশ্রণটি ছিটিয়ে দেওয়ার ১০-১৫ মিনিট পরে শুকনো কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে নিবেন।
- সিঙ্ক, স্ল্যাব ও দেয়াল পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি ঝুল পরিষ্কার করাও জরুরি। রান্নাঘরে ধোয়া ও তেলের কারণে প্রচুর ঝুল জমতে পারে। তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন ঝুল পরিষ্কারের ব্যবস্থা করুন
- রান্নাঘরে যদি ওভেন, ব্লেন্ডার, ফ্রিজ থাকে, তবে প্রতিদিনই এসব যন্ত্রের বাইরের অংশ পরিষ্কার করা উচিত। তা না হলে প্রতিদিনের রান্না থেকে উৎপন্ন ধোঁয়াযুক্ত বাষ্প তেল চিটচিটে আঠালো ভাবটা স্থায়ী হয়ে যাবে।