খুশকি হলো মাথার ত্বকে জন্মানো এক ধরনের ছত্রাক যা ম্যালাসেজিয়া নামে পরিচিত। এটি সেবাম (আমাদের মাথার ত্বকে সেবেসিয়াস গ্রন্থি দ্বারা নিঃসৃত তৈলাক্ত পদার্থ) এবং ত্বকের মৃত কোষের (যা প্রাকৃতিকভাবে নতুন ত্বক গঠনের কারণে সৃষ্ট হয়) মাধ্যমে বেঁচে থাকে। খুশকি বা ড্যানড্রাফজনিত সমস্যায় ভোগেননি এমন মানুষ পাওয়া ভার। খুশকি থেকে অতিরিক্ত চুল পড়া এবং অ্যালার্জির মতো সমস্যাও হতে পারে। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে এর সমাধান প্রয়োজন। চলুন জেনে নেই ঘরোয়া উপায়ে খুশকি যেভাবে দূর করবেন-
নারিকেল তেল ও লেবুর রস
নারিকেল তেল আর পাতি লেবুর মিশ্রণ চুলের জন্য খুবই উপকারী। নারকেল তেল চুলের জন্য নিউট্রিশন জোগান দেয় আর পাতি লেবুর রস খুশকি সমস্যা দূর করে। এক্ষেত্রে দুই চামচ পাতি লেবুর রস আর দুই চামচ নারিকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে চুলের মধ্যে ও চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ করার পর এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে সমস্ত মাথা ধুয়ে নিতে হবে।
পেঁয়াজের রস
দুটো পেঁয়াজ ভাল করে বেটে এক মগ জলে মিশিয়ে নিয়ে মাথায় এই রস ভাল করে লাগিয়ে মালিশ করুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে সপ্তাহে দু’বার পেঁয়াজের রস মাথায় মাখলে খুশকির সমস্যায় দ্রুত উপকার পাওয়া যাবে।
ভিনেগার ব্যবহার
ভিনেগার খুশকি সৃষ্টিকারী ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে কাজ করে। তাই খুশকি দূর করতে মাথা ধোয়ার আধা ঘণ্টা আগে মাথার ত্বকে সমান পরিমাণে সাদা ভিনেগার পানির সঙ্গে মিশিয়ে লাগিয়ে নিন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
মেথি
মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে নিয়ে ভাল করে বেটে নিন। ছেঁকে নেয়া পানি ফেলে দেবেন না। এবার বেটে নেয়া মেথি চুলের গোঁড়ায় মাথার ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ঘণ্টা খানেক রেখে চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার পর মেথি ভিজিয়ে রাখা পানি দিয়ে আরও একবার চুল ধুয়ে নিন। এ ভাবে সপ্তাহে দু’বার মেথি-মালিশ করুন।
বেকিং সোডা
চুল ধোয়ার সময় শ্যাম্পুতে সামান্য বেকিং সোডা মিশিয়ে নিতে পারেন। বেকিং সোডা স্ক্রাব হিসাবে কাজ করে এবং মাথার ত্বককে আলতোভাবে এক্সফোলিয়েট করে। এটি স্ক্যাল্পের ক্ষতি না করে ত্বকের মৃত কোষগুলোকে অপসারণ করে।
নিম পাতা
নিম পাতা বেটে চুলের গোড়ায় রেখে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলতে হবে। নিমপাতার নির্যাস তার ব্যাকটেরিয়ারোধী এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণাবলীর কারণে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।