• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পোড়া ক্ষত সারাবেন যেভাবে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৩, ০২:১৯ পিএম
পোড়া ক্ষত সারাবেন যেভাবে

আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনা হরহামেশা ঘটেই থাকে। যদিও এমন ঘটনা মোটেও কারও কাম্য নয়। শরীরের পোড়া ক্ষত কতটা, সেটির তীব্রতা বুঝে চিকিৎসা করেন চিকিৎসকেরা। 

যেমন—

  • প্রথম ডিগ্রি পোড়াকে সবচেয়ে কম গুরুতর বলে মনে করা হয়, কারণ এতে শুধু ত্বকের বাইরের স্তর প্রভাবিত হয়। এ ক্ষেত্রে হালকা ব্যথা, লালভাব ও ফোলাভাবের সৃষ্টি হয়।
  • দ্বিতীয় ডিগ্রি পোড়া ত্বকের গভীর স্তর পর্যন্ত পৌঁছায়। ফলে ফোসকা ও সাদা হয়ে যায় ত্বক।
  • তৃতীয়-ডিগ্রি পোড়া ত্বকের সব স্তরের ক্ষতি করে।
  • চতুর্থ-ডিগ্রি পোড়া হয় তখন জয়েন্ট ও হাড় পর্যন্ত পুড়ে যেতে পারে। তখন পোড়া রোগীকে বাঁচানো মুশকিল হয়ে ওঠে।
  • চিকিৎসকরা তৃতীয় ও চতুর্থ ডিগ্রি পোড়াকে চিকিৎসা জরুরি হিসাবে বিবেচনা করেন। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় ডিগ্রি অর্থাৎ ৩ ইঞ্চির কম ব্যাসের পোড়ার চিকিৎসা ঘরেও করা যায়।
  • হালকা পোড়া সম্পূর্ণরূপে সারতে সাধারণত দুই সপ্তাহ সময় লাগে। এ ক্ষেত্রে ত্বকে তেমন দাগেরও সৃষ্টি হয় না। পোড়া চিকিৎসার লক্ষ্য হলো ব্যথা কমানো, সংক্রমণ প্রতিরোধ করা ও ত্বককে দ্রুত নিরাময় করা।

 

ঘরোয়া চিকিৎসা

 

  • পুড়ে যাওয়া স্থানে যত দ্রুত সম্ভব ২০ মিনিটের জন্য ওই স্থানে পানি ব্যবহার করা উচিত। তারপর পোড়া স্থানটি স্যাভলন বা ডেটল দিয়ে হালকাভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  •  শীতল কম্প্রেস বা পরিষ্কার ভেজা কাপড় পোড়া জায়গায় রাখলে ব্যথা ও ফোলাভাব দ্রুত কমে যায়। ৫-১৫ মিনিট পরপর কম্প্রেস প্রয়োগ করতে পারেন। অতিরিক্ত ঠান্ডা কম্প্রেস ব্যবহার করবেন না।
  • অ্যান্টিবায়োটিক মলম ও ক্রিম সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আপনার পোড়া স্থানে ব্যাসিট্রাসিন বা নিওস্পোরিনের মতো একটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল মলম লাগান। তারপর ক্লিং ফিল্ম বা জীবাণুমুক্ত, নন-ফ্লফি ড্রেসিং বা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন।
  • অ্যালোভেরাকে ‘বার্ন প্ল্যান্ট’ বলা হয়। গবেষণায় প্রমাণ দেখানো হয় যে অ্যালোভেরা প্রথম থেকে দ্বিতীয় ডিগ্রি পোড়া নিরাময়ে কার্যকর। এটি প্রদাহবিরোধী, রক্তসঞ্চালনকে উৎসাহিত করে ও ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে বাধা দেয়। পোড়ার চিকিৎসায় তাজা অ্যালোভেরার রস ব্যবহার করুন। স্বস্তি মিলবে।
  • মধুতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে। ছোটখাটো পোড়ার সমস্যার সমাধান করে মধু। এতে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান পোড়ার চিকিৎসায় বিশেষ কার্যকরী।
  •  সরাসরি সূর্যের আলোতে পোড়া ক্ষত কখনো খোলা রাখবেন না। কারণ, পোড়া ত্বক সূর্যের প্রতি খুব সংবেদনশীল।
  • পোড়া ক্ষতের স্থানে ফোসকা পড়া স্বাভাবিক বিষয়, কখনো নিজের থেকে সেটি ফাটাবেন না। কারণ, ফোসকা ফাটালে সংক্রমণ বাড়তে পারে আক্রান্ত স্থানে। পোড়ার কারণে গুরুতর বা বড় আকারের ফোসকা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Link copied!