• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনা পয়সায় ত্বকের যত্ন হবে যেভাবে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম
বিনা পয়সায় ত্বকের যত্ন হবে যেভাবে
ছবি: সংগৃহীত

ত্বকের যত্নে কতকিছুই না ব্যবহার করা হয়। ব্র্যান্ডের দামী প্রসাধনী, ঘরোয়া নানা উপকরণের ব্যবহার হচ্ছে। পকেটের কত টাকা খরচ হচ্ছে পার্লারে গিয়ে। অথচ বিনা পয়সায় ত্বকের যত্ন ঘরেই করা যাবে। অভিনব পণ্যের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে ত্বককে সতেজ এবং স্বাস্থ্যকর করতে ব্যবহার করতে পারেন বরফ বা আইস কিউব। হ্যা, আইস কিউব ব্যবহার করেই ত্বকের অনেকে সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। আর খরচ হবে না এক টাকাও।

ব্রণ সারাতে বরফ বা আইস কিউব

ব্রণের ঘরোয়া প্রতিকার হয় বরফ দিয়ে। ব্রণের লালচে ও ফোলাভাব দূর হয়ে যাবে। বরফ লাগালে  ত্বকে অত্যাধিক তেল তৈরি হয় না। তাই ব্রণও হবে না। বাজারে পাওয়া অনেক ক্রিম বা লোশনের চেয়ে এটি অধিক কার্যকর। প্রতিদিন রাতে ঘুমের আগে মুখে বরফ ঘষে নিন। ব্যস, ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে। ত্বকও প্রাণবন্ত দেখাবে।

উজ্জ্বলতা ফেরাতে

ত্বকে আইস কিউব ঘষলে রক্ত ​​চলাচল বৃদ্ধি হয়। বাড়তি রক্ত ​​ত্বকের কোষে পৌঁছে প্রচুর অক্সিজেন সঞ্চালন করে। যা ত্বককে আরও মসৃণ এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলে। মুখের ত্বকে প্রতিদিন বরফ ঘষলে নিস্তেজ ত্বক প্রাণ ফিরে পাবে। ক্লান্তিভাবও দূর হবে।

ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করবে

নিয়মিত বরফ ঘষলে ত্বক পুনরুজ্জীবিত হবে। বরফের শীতল সংবেদন থেকে ত্বককে মসৃণ এবং তরুণ মনে হয়। ফলে মুখটি অপেক্ষাকৃত কম বলিরেখাযুক্ত দেখাবে। বরফ মুখের রক্ত​​প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। তাই নিয়মিত বরফ লাগালে ত্বকে টানটান ভাব ঠিক রাখবে। এমনকি নতুন করে বলিরেখাও পরবে না।

ফুসকুড়ি উপশম

বরফ ঘষলে অ্যালার্জি কিংবা লাল ফুসকুড়ি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং ফুসকুড়ি থেকে লাল ভাব কমিয়ে দেবে। বরফের কিউব একটি তোয়ালে মুড়িয়ে আক্রান্ত স্থানে আলতো করে প্রয়োগ করুন। ব্যথা কমে যাবে। কারণ ঠান্ডা বরফ জ্বালাপোড়া বা চুলকানি কমিয়ে দেবে। আর কোনো ওষুধ ব্যবহার না করলেও চলবে।

ত্বকের ছিদ্র কমাবে

বরফের সংস্পর্শে ত্বকের ছিদ্রগুলো দ্রুত ছোট হয়ে যাবে। এটি ত্বককে শীতল রাখে এবং প্রশমিত করে। ফলে ত্বকের ছিদ্র বা পোরসগুলোর আকার কমে যায়। ত্বক সমান ও নিখুঁত হবে।

ডার্ক সার্কেল বা চোখের ফোলাভাব

নিয়মিত বরফ ঘষলে চোখের ফোলাভাব কমে যাবে। চোখের নিচে আলতোভাবে বরফ ঘষে নিন।  অতিরিক্ত তরল নিষ্কাশন হবে এবং ফোলাভাব কমিয়ে দেবে। চোখের নিচে কালো দাগও দূর হবে। তাত্ক্ষণিক ফলাফল পেতে চোখের নিচে বরফের টুকরা কিছুক্ষণ ধরে রাখুন ডার্ক সার্কেল কমে যাবে। এটি নিয়মিত ব্যবহারে চোখ সতেজ হয়ে উঠবে।

ঠোঁটের কোমলতা

ফাটা কিংবা শুষ্ক ঠোঁটের জন্যও কার্যকর বরফ থেরাপি। ঠোঁটের ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে  এবং ফাটা কিংবা ব্যথাযুক্ত ঠোঁট দ্রুত নিরাময় করতে নিয়মিত বরফ ঘষুন। বরফের শীতল প্রভাব ফাটা ঠোঁটের জ্বালা বা প্রদাহ কমায়। তাই কোনো লিপবাম ব্যবহার না করলেও চলবে। বরং বরফ দিয়েই ঠোঁট ময়েশ্চারাইজড এবং মেরামত হয়ে যাবে।

Link copied!