গর্ভাবস্থায় নারীদের নানা রকম সাবধানতা মানতে হয়। এই সময় নারীদের শরীরে নানা রকম পরিবর্তন দেখা যায়। যার কারণে খাওয়া দাওয়া, পোশাক, চলাফেরা সবকিছুতেই সতর্ক থাকতে হয়। বিশেষজ্ঞরা জানান, গর্ভাবস্থায় নারীদের শরীরের ওজন বেড়ে যায়। বিশেষ করে পেটের আকার অনেক বড় হয়। তাই এই সময় খুব টাইট পোশাক পরা একদমই উচিত নয়। তাহলে হবু মায়েদের পোশাক কেমন হওয়া উচিত, চলুন জেনে আসি।
‘ম্যাটারনিটি ফ্যাশন’ এখন বেশ জনপ্রিয়। এই চিন্তাধারায় গর্ভাবস্থায় পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে তেমন না ভাবলেও চলে। মানে মাতৃকালীন পোশাকের সঙ্গে স্টাইলিংয়ের কম্বিনেশন ঘটানো হয় ম্যাটারনিটি ফ্যাশনে। মানে গর্ভকালীন সময়ে স্টাইলের সঙ্গে কোনো সমঝোতা করার প্রয়োজন নেই, সে কথাটি নিশ্চিত করা হয়।
অনেকের ধারণা, গর্ভাবস্থায় টাইট পোশাক পরা নিরাপদ নয়। তবে টাইট পোশাক পরলে আপনার ভয়াবহ ক্ষতি হবে না। তবে না পরাই ভালো। কারণ অতিরিক্ত টাইট পোশাক পরলে শরীরে স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়। পেশিতেও টান লাগে। অসুস্থ বোধ হবে। তাছাড়া এই সময় হরমোনের মাত্রায় পরিবর্তন হয়। তাই শরীরে ওজন বাড়ে। টাইট পোশাক পরলে অস্বস্তি বাড়বে।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, প্রেগনেন্সির ৩-৪ মাস পর থেকে ধীরে ধীরে স্তনের আকারও বদলাতে শুরু করে। তাই অন্তর্বাসের দিকেও নজর দিতে হবে। এই সময় ম্যাটারনিটি অন্তর্বাস পরা যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় কোন সময় থেকে বিশেষ ম্যাটারনিটি অন্তর্বাস পরতে হবে তা নিজের শরীরের পরিবর্তন দেখেই বুঝতে হবে। তবে প্রেগনেন্সির ৪-৫ মাস সময় থেকেই ম্যাটারনিটি অন্তর্বাস পরা শুরু করুন।
সাধারণত গর্ভাবস্থায় ১২ সপ্তাহ পর থেকে ম্যাটারনিটি পোশাক পরা উচিত। এই সময় থেকেই শরীরের পরিবর্তন শুরু হয়। তাই ম্যাটারনিটি পোশাক হবু মায়েদের আরাম দেয়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, গর্ভাবস্থায় পোশাকের কাপড় নিয়েও সচেতন থাকতে হবে। যেসব কাপড়ে গরম কম লাগবে এবং আরামদায়ক হবে সেগুলোই পরতে হবে। তাই ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরাই শ্রেয় হবে।