লাতে হলো একটি ইতালিয়ান মজাদার কফির নাম। দুধ ও এসপ্রেসোর সংমিশ্রণে তৈরি এই কফি সারাবিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়। তবে মজার বিষয় হলো এই নামটি আজকাল মেকআপের সঙ্গেও শোনা যাচ্ছে। মূলত লাতের রঙের মতোই মেকআপে কিছুটা বাদামীর আভা থাকে।
এই মেকআপ খুব ঝলমলে বা ভারী হয় না। হালকা বাদামী এক ধরনের মিনিমাল লুক তৈরি করে। হাল ফ্যাশনে আবার মিনিমাল মেকআপ লুক তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এবার আসা যাক লাতে মেকআপ করার প্রক্রিয়াতে।
কোনো ঝামেলা ছাড়াই খুব সহজে এই সুন্দর মেকআপ লুকটি করা যায়। রূপ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, লাতে মেকআপ লুকে মূলত বাদামী এবং ন্যুড শেডগুলোকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। এ ধরনের মেকআপ লুক তৈরি করা খুবই সহজ এবং যেকোনো স্কিনটোনেই খুব ভালো মানায়। তবে স্কিনটোনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শেড বেছে নিতে হবে।
যেমন ডার্ক স্কিনটোনে ডিপ শেড বেশি ভালো মানায়। চোখে কিছুটা চকচকে আইশ্যাডো, উজ্জ্বল রঙের ব্রোঞ্জার ও ঠোঁটে ট্রান্সপারেন্ট গ্লসি ব্রাউন শেড ব্যবহার করতে হবে। এই মেকআপের মূল রহস্য হলো মূলত ক্যারামেল, হলুদ ও জলপাই আন্ডারটোনের ব্রোঞ্জার ও বাদামী শেড। এক্ষেত্রে ব্রোঞ্জার ও শেডের কমলা, লাল আন্ডারটোন এড়িয়ে চলতে হবে।
ঠোঁটের ক্ষেত্রেও এ বিষয়টি মেনে লাতে মেকআপ করতে হবে। ক্লিয়ার লিপগ্লসের পরিবর্তে একটু লিপ লাইনে একটি স্মাজ ব্রাশের সাহায্যে শ্যানেল লা বেইজের গ্লো ব্রোনজিং ক্রিম লাগাতে হবে, ঠোঁটের ওপরের ভাঁজে এবং নিচের ঠোঁটের মধ্যভাগে ওভারলাইন করে নিতে হবে।
এরপর যেকোনো ওয়ার্ম ব্রাউন রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। সবশেষে প্যাট ম্যাকগ্রাথের লাস্ট ইন ন্যুড নেগলিজে অথবা কোনো ক্রিমি গ্লস ব্যবহার করতে হবে। এই মেকআপ লুকে কয়েক ঘণ্টা পরেও আপনাকে প্রাণবন্ত ও ন্যাচারাল দেখাবে।
আপনি যদি ভারী মেকআপ পছন্দ না করেন তাহলে লাতে মেকআপই হতে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত একটি মুখের সাজ।