ত্বকের যত্ন নিয়ে বলা হলে প্রথমেই আসে ত্বক পরিষ্কার রাখা। ত্বকের মধ্যে জমে থাকা ময়লা দূর করতে ক্লিনজিং করার কথা আলাদা ভাবে বলার কিছু নেই। অনেকেই কেবল পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে থাকেন। কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয়। সারা দিনের ধুলোবালি শুধু পানি দিয়ে বা শুধু একটা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুলেই যাবে না। ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার করতে হয়। এক্ষেত্রে ডাবল ক্লিনজিং খুব জনপ্রিয় একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে ত্বকের তেল ভাব, ময়লা খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করা যায়।
ডাবল ক্লিনজিং কী
ডাবল ক্লিনজিং করতে হয় দুই ধাপে। প্রথমে একবার অয়েল বেজড ক্লিনজার তুলার মধ্যে নিয়ে মুখের ওপর জমে থাকা ময়লা তুলে ফেলা হয়। তারপর ওয়াটার বেজড বা ফোম বেজড ফেসওয়াশ দিয়ে ভালো করে ত্বক পরিষ্কার করা হয়।
কেন করবেন
সকাল, সন্ধ্যা দুই সময়ের জন্যই ডাবল ক্লিনজিং উপকারী। ত্বকের অসম ভাব এবং ময়লা দূর করতে এবং ত্বক থেকে নিখুঁতভাবে মেকআপ ও অন্যান্য প্রসাধনী দূর করতে ডাবল ক্লিনজিং অনেক কার্যকর। অ্যাকনে, পিগমেন্টেশন, বলিরেখা থেকে ত্বক দূরে রাখতে চান তা হলে অবশ্যই করুন ডাবল ক্লিনজিং। এর ফলে ত্বকে ব্রণের প্রবণতা কমে আসে। ত্বক হয় উজ্জ্বল ও কোমল।
যেভাবে ডাবল ক্লিনজিং করবেন
ত্বকের সঙ্গে মানানসই তেল মিশ্রিত ক্লিনজার বা অয়েল ক্লিনজিং তুলার প্যাড বা নরম কাপডড়ে নিয়ে কপালে, গালে, নাকে ও থুতনিতে নিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এটি মুখের সারফেস লেভেলের মেকআপ, সিবাম ও সানস্ক্রিন তুলে ফেলতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আগে চোখের মেকআপ, তারপর ঠোঁটের লিপস্টিক তুলুন। তারপর মুখে আঙুল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করলে মেকআপ এবং জমে থাকা ময়লা উঠে আসবে।
কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে মুখ ভিজিয়ে নিন।
এবার ফোম ক্লিনজার সামান্য পরিমাণে হাতে নিয়ে ঘন ফেনা তৈরি করতে হবে। এই ফোম পুরো মুখে এবং গলায়, কপালে ও নাকের ত্বকে ভালোভাবে মালিশ করতে হবে। খেয়াল রাখবেন, মুখে যেন বেশি ঘষাঘষি না করা হয়। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
ক্লিনজিংয়ের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।