হাতে গোণা আর মাত্র কয়েকদিন পূজার বাকি। নিজেকে সাজানোর পাশাপাশি এসময় ঘরদোর সাজানোরও একটি পরিকল্পনা থাকে সবারই। পূজার ছুটিগুলোতে যারা বেড়াতে যান তাদের কথা ভিন্ন। কিন্তু যারা দিনের সারাটা সময় ঘরে কাটিয়ে সন্ধ্যায় মন্ডপে বের হন তাদের জন্য ঘর, বারান্দা এসব পরিপাটি থাকলে যেন আর কিছু লাগে না। নিজের মনের মতো করে সময়গুলো উপভোগ করা যায়। স্বার্থক হয় ছুটির কয়েকটি দিন। তাই চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক এবার পূজায় আপনার বারান্দা সাজানোর কিছু উপায়-
- বারান্দায় বসে চা-কফি হাতে নিয়ে গল্প জুড়ে দিতে কার না ভালো লাগে। তাই বারান্দায় একটা বসার ব্যবস্থা অবশ্যই রাখবেন। ছোট টেবিল আর দুটি ছোট চেয়ারও পেতে রাখতে পারেন। জায়গা খুব ছোট হলে ফোল্ডিং চেয়ার-টেবিল রাখুন। তার সঙ্গে জুড়ে দিন রঙিন কুশন। বারান্দা বড় হলে একটা দোলনাও ঝোলাতে পারেন।
- রংবেরঙের ফুলের গাছ দিয়েও রাঙিয়ে তুলতে পারেন বারান্দা। মৌসুমি ফুল, বোগেনভিলিয়ার মতো লতানো ফুলের গাছ অথবা নিজের পছন্দসই কোনো ফুল গাছও লাগাতে পারেন। মানিপ্ল্যান্ট নিয়ে বারান্দার গ্রিলে জড়িয়ে ফেলতে পারেন, দেখতে বেশ ভালো লাগবে।
- বেশির ভাগ ফ্ল্যাটেরই বারান্দা খুব বেশি বড় হয় না। তাই সাজানোর জন্য বারান্দার মেঝেতে খুব বেশি জিনিস দিয়ে জায়গা ভর্তি করে লাভ নেই। তার বদলে বরং ছবি, আয়না বা ঘর সাজানোর জিনিস দিয়ে সাজানো তাক, ওয়াল হ্যাঙ্গিং ঝোলাতে পারেন। বাচ্চার আঁকা কোনো ছবি থাকলে বাঁধিয়ে সাজিয়ে তুলতে পারেন বারান্দা।
- আলোও দিয়ে বারান্দা সাজিয়ে তুলতে পারেন। এক্ষেত্রে টুনি লাইট মাথায় রাখতে পারেন। কৃত্রিম মোমবাতি দিয়েও সাজাতে পারেন। ছোট্ট ল্যাম্পশেড রাখলে বেশ অন্যরকম আবেশ তৈরি হবে।
- কৃত্রিম ঘাস লাগিয়ে অনেকেই এখন বারান্দাটা বাগানের মতো করে সাজান। পুরোটা না করলেও একটা দিক এ ভাবে সাজাতে পারেন। পাশে কিছু নুড়িপাথর ছড়িয়ে দিন। বসার জায়গায় কৃত্রিম ঘাসের কার্পেট পেতে দিন বারান্দায়। অনলাইনে এ রকম কার্পেট পেয়ে যায়।