আর কিছুদিন পরেই বড়দিন। খ্রিষ্টান ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব এটি। এ দিনের সবচেয়ে অন্যতম আকর্ষণ হলো ক্রিসমাস ট্রি। বড়দিনে ঘরে কিংবা বাইরে সবার আগে যে জিনিসটি চোখে পড়ে তা হলো এই ক্রিসমাস ট্রি। এটিকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য চেষ্টার কোনও ত্রুটি থাকে না ছোট-বড় সবার। নানা রঙের বাতি, ঘণ্টা, রঙিন পপস, মোমবাতি, পাখি, ফুল, ফল, স্বর্গদূত আর রঙবেরঙের কাগজে সাজানো হয় ক্রিসমাস ট্রি।
মূলত, ক্রিসমাস ট্রিকে সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। মনে করা হয়, চির সবুজ দেবদারু জাতীয় এই গাছ অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটায়। ফলে এই গাছকে সুন্দর করে সাজালে ঘরে সমৃদ্ধি বাড়ে বলেও মনে করা হয়।
ক্রিসমাস ট্রি সাজাতে চকলেট, বেল, খেলনা এবং স্টার, নানা রঙের বাতি, ঘণ্টা, রঙিন পপস, মোমবাতি, পাখি, ফুল, ফল, স্বর্গদূত আর রঙবেরঙের কাগজ ব্যবহার করতে হবে। ক্রিসমাস ট্রির ওপরে একটি তারা বা স্বর্গদূত বসানোর নিয়ম রয়েছে।
এই স্বর্গদূতটি বেথেলহেমে জন্ম নেওয়া যিশুখ্রিস্টের প্রতীক। তাই ট্রির ওপরে থাকবে স্টার। এছাড়াও গাছ সাজানো হয়, লাল, সবুজ, রুপালি ও সোনালী রঙের কালারফুল কাগজে। ক্রিসমাস ট্রিতে বেলকে পথপ্রদর্শক হিসাবে ধরে নেওয়া হয়। তাই এটি রাখতেই হবে।
বিভিন্ন কালারফুল লাইট দিয়ে গাছকে সুন্দর করে আলোকিত করতে হবে। পুস্তকস্তবক রাখতে হবে গাছে। ক্যান্ডি ক্যানস দিয়ে মেষপালকদের প্রতীককে ব্যবহার করা হয়। কারণ মেষপালকরাই প্রথমে যিশুর জন্মস্থানে নিয়ে যান।
এছাড়াও উপহারের প্রতীকও সেখানে রাখা হয়। এভাবেই সাজাতে পারেন ক্রিসমাস ট্রি। বাড়িতে ক্রিসমাস ট্রি যেখানে রাখবেন তার আশপাশে বেশ কিছুটা আলোকসজ্জা রাখতে পারেন। বিভিন্ন ক্যান্ডেল, এলইডি দিয়ে সাজাতে পারেন পুরো বাড়ি।