চলছে বিয়ের মৌসুম। বিয়ের পর আগে থেকেই অনেকের সংসার গোছানো থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে আবার শুরু থেকেই সবকিছু গোছাতে হয় পরিপূর্ণভাবে। সেক্ষেত্রে কেমন বাসা ভাড়া নেবেন এবং কীভাবে সাজাবেন, কী কী লাগবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন বর-কনে। নতুন সংসার সাজাতে কী কী বিষয় খেয়াল রাখতে হবে চলুন জেনে নিই।
বাসা নির্বাচন
সংসার সাজানোর আগে মনের মতো বাসা খুঁজে পাওয়া জরুরি। চট করে বাসা পাওয়াও কঠিন। তাই বিয়ের আগে থেকে খোঁজা ভালো। বাসা কেনা বা ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে দেখতে হবে যেন অলো-বাতাসে ভরপুর থাকে। অনেক বড় বাসার ক্ষেত্রেও যদি পর্যাপ্ত আলো-বাতাস না থাকে, তাহলে ঘরগুলো বড় লাগে না।
ভাড়া বাসার ক্ষেত্রে তাই খুব ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। বাসা যদি শুধুমাত্র দুজনের জন্য হয়,তাহলে প্রয়োজন অনুযায়ী ছোট বা বড় রাখা যেতে পারে। কিন্তু পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হলে প্রত্যেকের প্রাইভেসি থাকে এবং লিভিং রুম যথেষ্ট বড় এমন বাসা নির্বাচন করতে হবে।
আসবাবপত্র
নতুন সংসার গোছানোর শুরুতে এমন আসবাব কিনতে হবে, যেগুলোর যত্ন নেওয়া সহজ হয়। ছোট ঘরের ক্ষেত্রে নিচু আসবাব বাছাই করাটা ভালো। প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাব না রাখাই ভালো। এতে ঘরের আয়তন বড় দেখাবে। অনেক সময় বাজেট অল্প থাকার কারণে কাঠের আসবাব পছন্দ হলেও কেনা সম্ভব হয় না, সে ক্ষেত্রে বেত বা উডের আসবাব কেনা যেতে পারে।
দেয়ালের রং
নিজের ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে দেয়ালের রং নির্বাচনে অনেক ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। কিন্তু ভাড়া বাসার ক্ষেত্রে সেই সুযোগ কম। সে ক্ষেত্রে পছন্দের ওয়াল পেপার দিয়ে রুমের একটা নির্দিষ্ট দেয়ালকে সাজিয়ে নিতে পারেন।
এরপর তার ওপর পছন্দের ফটোফ্রেম সেট করে দেয়ালটিকে আরও বেশি দৃষ্টিনন্দন করতে তুলতে পারেন। ছোট ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে গাঢ় রং ব্যবহার করা যাবে না। তাতে রুম আকারে বেশি ছোট মনে হবে।
সে ক্ষেত্রে রুমে কোন ধরনের রং ও উপকরণ ব্যবহার করলে সেটাকে আরও বড় লাগবে, সেই চিন্তা করতে হবে। পর্যাপ্ত সূর্যের আলো ঘরে প্রবেশ করলে ঘরটাকে অনেক বড় দেখাবে এবং সুন্দর লাগবে।
পর্দা নির্বাচন
ঘরে পর্দা তো লাগেই। পর্দার জন্য এমন কাপড় বাছাই করা উচিত যা খুব বেশি ভারী নয় এবং সহজে পরিষ্কার করা যায়। পর্দা ছাড়াও বেডশিট, কুশন কভার ইত্যাদির জন্য ফেব্রিকস খুব ভেবেচিন্তে নির্বাচন করতে হবে। সহজে পরিষ্কার করা ও যত্ন নেওয়া যায় তেমন ফেব্রিকস কেনা জরুরি।
লাইট বাছাই
বাসা নেওয়ার পর সবার আগে প্রয়োজন বাতি আর পাখার ব্যবস্থা করা। সব ঘর, বাথরুম, রান্নাঘর, বারান্দার জন্য বাতি কিনে ফেলুন। সব ঘরের জন্য একটা করে বৈদ্যুতিক পাখারও ব্যবস্থা করতে হবে। লাইট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ওয়ার্ম টোনড লাইট বেছে নিতে পারেন।
এগুলো ঘরকে অনেক বেশি আরামদায়ক করে তোলে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের লাইটিং ফিক্সার পাওয়া যায়। ঘরে লাইট ফিটিংয়ের সময় খেয়াল রাখতে হবে, যেন লাইট সরাসরি চোখে এসে না পড়ে।
কম খরচে সাজানোর জন্য
খুব কম খরচে সুন্দরভাবে ঘর সাজানোর জন্য মাটির জিনিস বেশ নান্দনিক। এ ছাড়া বাজারে বা অনলাইন পেজগুলোতে বাঁশ, বেত ও পাটের বিভিন্ন ধরনের ঘর সাজানোর জিনিস পাওয়া যায়। পছন্দমতো সেগুলো দিয়ে ঘর সাজানো যেতে পারে।
তালিকা
বাসা গোছানোর জন্য কি কি কিনবেন সবার আগে তার একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। এরপর ধাপে ধাপে গুরুত্ব বুঝে জিনিসপত্র কিনতে থাকুন।
সূত্র: আজকের পত্রিকা