নতুন অতিথি আসবে ঘরে। স্বাভাবিকভাবেই খুশির সীমা নেই। পরিবারের নতুন সদস্যকে নিয়ে চলছে নানা আয়োজন। কিন্তু নতুন শিশু আসবে বলে একদিকে যেমন আনন্দে ভরে আছে মন তেমনি অন্যদিকে বাড়ছে উদ্বিগ্নতা। কারণ বাড়িতে রয়েছে অতি আদরের পোষা প্রাণী। এবং অত্যন্ত দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন একই সঙ্গে কীভাবে সামলাবেন নতুন বাচ্চা আর পোষা প্রাণীকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নবজাতক শিশুকে বাড়িতে নিয়ে আসার আগে কুকুরকে ট্রেনিং দিতে হবে। যাতে সে পরিবারের নতুন সদস্যটিকে ঠিকমতো গ্রহণ করতে পারে। আর তার জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করতে হবে। এক্ষেত্রে যেটি করতে পারেন তা হলো, বাচ্চার কোনো জামাকাপড় আগে থেকেই পোষা প্রাণীটিকে শুঁকিয়ে দিন। এটি বেশ কাজ দেয়।
এতে করে পোষা প্রাণী, বাচ্চার গায়ের গন্ধের সঙ্গে ধীরে ধীরে পরিচিত হতে থাকবে। ফলে তার কাছে আপনার বাচ্চা আর অপরিচিত কেউ থাকবে না। এই কাজটি করতে হবে বাচ্চাকে বাড়িতে নিয়ে আসার কমপক্ষে ২ সপ্তাহ আগে থেকেই।
আরও একটি কাজ করতে পারেন। সেটি হলো বাচ্চাকে কোলে নেওয়া অবস্থায় প্রাণীটিকে কাছে আসতে দিন। তাকে বাচ্চার গায়ের গন্ধ নিতে দিন। এটি করলে সে বাচ্চার গায়ের গন্ধ পেয়ে যাবে। আর একবার যদি আপনার পোষা প্রাণী বুঝে যায় যে, যার গন্ধ সে নিচ্ছে, সে এই বাড়িরই সদস্য, তাহলে আর কোনো অসুবিধা হবে না।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হলো, বাচ্চাকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর পোষা প্রাণীর গতিবিধি ঠিক করে দিতে হবে। যেমন, প্রথম কয়েক সপ্তাহ তাকে বাচ্চার গায়ের গন্ধ নিতে দেবেন। কিন্তু বাচ্চার ধারে কাছেও ঘেঁষতে দেবেন না। তারপর ধীরে ধীরে কাছে আসতে দেবেন।
এর পাশাপাশি সবসময় বাচ্চা এবং প্রাণী উভয়ের দিকেই নজর রাখবেন। আর বাচ্চার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পোষা প্রাণীর সম্পর্কে তাকেও কিছু বিষয় শেখাতে হবে। যেমন, কখনও তাদের বিরক্ত করা যাবে না। লেজ ধরে টানাটানি করা যাবে না। এছাড়া বাচ্চা যেন কখনই তার হাত প্রাণীর মুখে না ঢোকায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে।
ঘরে একটি শিশু রয়েছে বলে পোষা প্রাণীকে অবজ্ঞা করবেন না। এতে বাচ্চার প্রতি প্রাণীটির রাগ জন্মাতে পারে। যেটি বড় কোনো দুর্ঘটনাও ডেকে আনতে পারে। তাই বাচ্চা এবং কুকুর, উভয়কেই সমান সময় ও গুরুত্ব দিন। পোষা প্রাণীটি যতই শান্ত হোক না কেন, ভুলে যাবেন না বাড়িতে বাচ্চা রয়েছে, তার নিরাপত্তা সবার আগে। পোষা প্রাণী যখনই বাচ্চার আশেপাশে ঘোরাফেরা করবে তখন খেয়াল দুইদিকেই খেয়াল রাখবেন।