দাম্পত্য মানেই খুনসুঁটি, মান-অভিমান। সেটাই স্বাভাবিক। কলহ ছাড়া কি সত্যিই দাম্পত্য সম্পর্ক হয়? যেকোনো সম্পর্কে মতের অমিল হয়। তা নিয়ে উঁচু গলায় বাক্যালাপও খুব সাধারণ বিষয়। সকালে ঝগড়া হলে বিকেলে মিটে যায়। কিংবা দু-একদিন হতে পারে এর মেয়াদ। কিন্তু যদি দিনের পর দিন কলহ চলতে থাকে, তবে সমাধানের উপায় ভাবতেই হবে ।
দাম্পত্য-কলহ সামাল দিতে কী করবেন
১. যে বিষয় নিয়ে প্রতিদিন ঝামেলা হয়, তা নিয়ে সাময়িকভাবে কথা বলাই বন্ধ করুন। বিষয়টি স্বামী বা স্ত্রী, কেউ তুলবেন না। বরং সেগুলো বাদ দিয়ে দুজনের মধ্যে স্বাভাবিক কথাবার্তা বজায় রাখুন। কয়েকটা দিন ঠান্ডা থাকলে, দুজনেই আলাদা করে সমস্যা নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাবার সুযোগ পাবেন। তখন দুজনে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। ঝগড়া নয়।
২.খারাপ কথা নয়। মাথা গরম থাকলে একে অন্যকে যত কুকথা বলবেন, ততই তিক্ততা বাড়বে। কলহের বিষয় হয়ত পরে বদলে যাবে, তবে মনে দুঃখ দেওয়া কথা কিন্তু ফিরিয়ে নেওয়া যাবে না। তাই যত অশান্তিই হোক, গালি-গালাজ করা থেকে বিরত থাকুন। এমন কোনো কথা কেউ কাউকে বলবেন না, যার কারণে সম্পর্কে স্থায়ী ফাটল ধরতে পারে।
৩. সুন্দর দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য সুস্থ শারীরিক সম্পর্ক জরুরি। এতে মনের বাঁধনও দৃঢ় হয়। আবার কলহ শেষে বা মান ভাঙাতে একে অপরকে আলিঙ্গন কিন্তু ম্যাজিকের মতো কাজ করতে পারে।
৪. কলহ দীর্ঘ দিন জিইয়ে থাকার অন্যতম কারণ হতে পার ‘ইগো’ বা অহংবোধ। কেউ কারো কাছে নিচু হতে চান না। কাছের মানুষকে ‘সরি’ বা ‘দুঃখিত’ বলায় কিন্তু কেউ ছোট হয়ে যায় না। অনেক সময় দুজনের মনেই অভিমান থাকে, আর তা এত বেশি হয়ে যায় যে, চাইলেও একে অপরের কাছে আসতে পারেন না। কোনো ছোট চিরকুটে মনের কথা লিখে দেওয়া বা সামনাসামনি বলতে না পারা কথা চিঠিতে লিখেও অন্য মানুষটিকে জানাতে পারেন।
৫. মাথা গরম থাকলে কথা না বাড়িয়ে সেখান থেকে সরে যান। পরে একা একা বসে ভাবুন, সত্যি কি অন্য মানুষটির দোষ ছিল? আপনার কোনো ভূমিকা ছিল না? ভাবুন। উত্তর মিলবে।