নারী দিবসের শুরুটা এসেছে ‘প্রতিবাদ’ থেকে। ইউনেস্কোর দেওয়া তথ্য অনুসারে, ১৯০৯ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। দিনটি উদযাপন শুরু হয় নারী শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে। এরপর ১৯১৭ সাল থেকে দিনটি উদযাপন শুরু হয় রাশিয়াতেও। এভাবে ধীরে ধীরে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে নারী দিবসের গুরুত্ব। বর্তমানে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয় মার্চ মাসের ৮ তারিখে। আজ আপনার দিনটি এইভাবে উদযাপন করতে পারেন—
অফিসে
আপনি যদি কর্মজীবী হন তবে আপনার নারী সহকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি বিশেষ ভিডিও রিল তৈরি করে তাদের চমকে দিতে পারেন। সব ধরনের দায়িত্ব সামাল দেওয়ার ক্ষমতা নারীর রয়েছে এটুকু তাদের অনুভব করতে দিন। বছরের এই দিন তাদের জন্য বিশেষ হয়ে থাকুক।
আপন নারী
যারা আপনার ঘরের, হোক সে বোন, মা, কন্যা কিংবা স্ত্রী তাদের জন্য বিশেষ কিছু আয়োজন রাখতে পারেন। তাদের আলাদা কোনো কার্ড, উপহার দিতে পারেন। আপনি নিজে নারী হলেও অন্য নারীকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুল করবেন না। এই উদযাপন হোক নারী-পুরুষ সবার জন্য।
সামাজিক
বিশেষ দিনটিতে কোনো মহিলা সংগঠনের প্রতি আলাদা করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। দুস্থ নারীদের সেবায় কোনো অনুদান দিতে পারেন। আপনার চারপাশে এমন অনেক নারীই পাবেন। তাদের প্রতি সহানুভূতির শুরুটা হোক এই দিন থেকেই।
পার্পেল রং
নারী দিবস উদযাপনের জন্য আলাদা করে সঙ্গে রাখতে পারেন পার্পেল রঙের রিবন বা গোলাপী কোনো জিনিস। কারণ এই রং নারী দিবসের প্রতীক হিসাবে মনে করা হয়। এতে নারীর প্রতি আপনার সমর্থন ফুটে উঠবে।
রান্না
যত ধরনের তর্ক-বিতর্কই হোন না কেন, আমাদের দেশে রান্নার কাজের সিংহভাগ দায়িত্বই নারীর। কাজটি তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভালোবেসে করেন। তাই নারী দিবসে তাদের চমকে দেওয়ার জন্য রান্নার দায়িত্বটা আপনি নিয়ে নিতে পারেন। তাদের পছন্দের কোনো পদ অথবা যে রান্নাটি আপনি সবচেয়ে ভালো পারেন সেটি করতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া
নারীর জন্য ভালোবেসে কিছু কথা লিখতে পারেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। নারীকে সম্মান জানিয়ে বা আপনার জীবনে নারী সদস্যর সঙ্গে বিশেষ কোনো স্মৃতি নিয়েও লিখতে পারেন।