চলছে বড়দিনের শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি। ঘরে উৎসবের আমেজ তৈরি করতে কতরকম আয়োজনের চেষ্টাই না চলছে। কীভাবে সাজালে ব্যতিক্রমী হবে, কোন জায়গায় কী রাখা যায়। আর সেই চেষ্টায় সহযোগিতা করতে জানিয়ে দেব কিছু উপায়।
বড়দিনে আনন্দ উদযাপনের অন্যতম অনুসঙ্গ সান্তাক্লজ এবং ক্রিসমাস ট্রি। এই দুইটি জিনিস সাজানোর পাশাপাশি টেবিলের কথা ভোলা যাবে না। কারণ এই টেবিলেই রাখা হবে উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় খাবার কেকটি।
আর টেবিলটি সাজানো থাকতে পারে নানরকম লাইট, মোম, আর সান্টাক্লজের পুতুল দিয়ে। শিশুদের জন্য পার্টি হলে রাখতে পারেন আনব্রেকেবল বা ওয়ানটাইম বাসনপত্র। গ্লাসের গায়ে ঝুলিয়ে দিতে পারেন ক্রিসমাস ট্যাগ। সেখানে লিখে রাখতে পারেন শিশুদের নাম। তাহলে পানি খাওয়ার সময় গ্লাস পাল্টাপাল্টি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
ঘরে আনতে পারেন প্রকৃতির ছোঁয়া। ইন্ডোর প্ল্যান্ট থাকলে কোনও ভাবনাই নেই এক্ষেত্রে। আর তা না থাকলে বারান্দা বা ছাদে রাখা ছোট মাপের টব এনে পছন্দমতো জায়গায় সাজিয়ে রাখুন। ডাইনিং টেবিলের পাশে তৈরি করুন পশুশালায় সদ্যোজাত যিশুর সেই পরিচিত দৃশ্য। এই দৃশ্যের জন্য যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার চেষ্টা করুন।
বড়দিনের পার্টির টেবিল সাজাতে হবে একটু আলাদাভাবে। উৎসবের আমেজ দিতে সেখানে রাখতে পারেন ভেলভেট বো ন্যাপকিন টাই, ক্যান্ডি স্ট্রাইপড ফেস্টিভ ব্যাগ এবং লাল রিবনে বাঁধা উপহার বাকসো। অথবা আপনার ইচ্ছে মতো যেকোনো উপহার রেখে দিতে পারেন।
আলোকসজ্জা ছাড়া কোনও উৎসবের আয়োজন ভাবা যায় নাকি! তারওপর যেহেতু উপলক্ষ বড়দিনের পার্টি, তাই টেবিলে রাখতে পারেন উজ্জ্বল মোমবাতি। ঘরে ঝুলিয়ে দিতে পারেন বাহারি লণ্ঠন। বিভিন্ন মাপের উজ্জ্বল টেবিল ক্যান্ডলও রাখতে পারে। এগুলো উৎসবের মেজাজ আনতে বেশ কার্যকরী। এগুলো সঙ্গে থাকতে নানা রঙের ফুল। ফুলদানিটিও ভরা থাকলো ঘরের একটি জায়গায়।
এইটুকুতেই দেখবেন বড়দিনের উৎসব কানায় কানায় ফুটে উঠেছে আপনার ঘরে।