ন্যুড মেকআপে লুকটা অনেকটাই সহজাত আর ন্যাচারাল মনে হয়। আর এই ন্যুড মেকআপ মানেই ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে এখানে ব্যবহার করা হবে হালকা সব রং। লিপস্টিক থেকে শুরু করে, আইশ্যাডো— সবকিছুতেই ব্যবহার করা হয় হালকা রং, যাতে ফুটে ওঠে ‘ক্লাসি লুক’। এটাই ন্যুড মেকআপের বিশেষত্ব। সীমিত মেকআপ সামগ্রীর সীমিত ব্যবহারে চেহারায় প্রাকৃতিক ও প্রানবন্তভাব ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমেই ন্যুড মেকআপ করা হয়।
মেকআপের মাধ্যমে আলাদা কোনও লুক দেওয়া হয় না, আবার যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে মানুষের নিজস্ব সৌন্দর্যকেই তুলে ধরা হয়, তাই পশ্চিমা বিশ্বে একে ন্যুড নামে ডাকা শুরু হয়। ন্যুড মানে নগ্ন, নিরাবরণ, উদলা বা উন্মুক্ত। অর্থাৎ লুকটা এমন হয় যে দেখে মনে হয় প্রায় কোনো মেকআপই ব্যবহার করা হয়নি। নামটা একজন মার্কিন বিউটি এডিটরের দেওয়া। নিউইয়র্ক থেকে মিলান হয়ে প্যারিস—ফ্যাশনের রাজধানীগুলোয় নামটা ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। নামটা উদ্যাপিত হয়েছে বিশ্বের বড় বড় ফ্যাশন উৎসবে। আর ফ্যাশন ম্যাগাজিন, ইন্টারনেট ও গণমাধ্যমের কল্যাণে সেই নাম ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে
ন্যুড মেকআপ লুক তৈরি করা কঠিন তো নয়ই, বরং খুবই সহজ ও সিম্পল। ছোট মাত্র পাঁচটি ধাপেই ন্যুড মেকআপ লুক চেহারায় আভিজাত্যের ছাপ এনে দিবে। ন্যুড মেকআপে বেস তৈরি করা হয়। চোখেও থাকে ন্যুড আইশ্যাডোর ছোঁয়া। আর আইলাইনার ও মাস্কারা তো রয়েছেই। ঠোঁটেও থাকে লিপস্টিক। তবে ন্যুড মেকআপে বেজ তৈরি করার সময় ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা যাবে না। ফাউন্ডেশন ত্বকের উপর আস্তরণ তৈরি করে। ফাউন্ডেশনের পরিবর্তে ত্বকের রঙের কাছাকাছি কোন ফেস পাউডার ব্যবহার করতে হবে। ফেস পাউডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রথমে মুখের দুই পাশে, এরপর নাক ও কপালে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করতে হবে। চোখের সাজের জন্য পছন্দ করতে হবে ত্বকের রঙের কাছাকাছি রঙের আইশ্যাডো।
মুখের মেকআপের ক্ষেত্রে কন্ট্যুরিং এর কোন প্রয়োজন নেই। ব্লাশ ও হাইলাইটারই যথেষ্ট। ব্লাশ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই যথাসম্ভব হালকা শেড পছন্দ করতে হবে। খুব বেশি কন্ট্রাস্ট শেড পুরো ন্যুড মেকআপকেই নষ্ট করে দেবে।