তীব্র গরম। এই গরমে সারাদিনের কাজ শেষে ক্লান্ত থাকে শরীর। বাড়িতে ফিরে একটু শান্তির ঘুম দিতে সবাই চান। কিন্তু গরম আর মশার উপদ্রবে শান্তির ঘুম কি আর হয়! ঘরে এসি ছেড়ে নিলে গরমের চিন্তা কিছুটা কমবে। কিন্তু মশা! মশা থেকে বাঁচার উপায় তো নেই। মশারি টানিয়ে সারাদিন তো থাকা যায় না। তাই মশা মারার বিভিন্ন পদ্ধতি খাটাতে হয়।
মশা থেকে বাঁচতে অনেকেই মশার কয়েল জ্বালান। কয়েলে এলার্জি, শ্বাসকষ্ট ও ত্বকে জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দেয়। কেউ আবার এরোসোল ব্যবহার করেন। এর গন্ধ আবার অনেকের অপছন্দ। তাই মশা তাড়াতে ইদানিং বাড়িতে ইলেকট্রিক লিকুইড ভেপোরাইজার মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। অল আউট বা গুড নাইটের মতো মশা তাড়ানোর মেশিনের ব্যবহার বেড়েছে। এই মেশিনগুলো ব্যবহারে মশার কামড় থেকে কিছুটা শান্তি পাবেন।
কিন্তু গরমে বিদ্যুত বিল নিয়ে এমনিতেই মাথা নষ্ট। এসির অতিরিক্ত বিলের মধ্যে আবার মশা তাড়ানোর মেশিনের বিল যোগ হবে। সেই চিন্তায় অনেকেই কারেন্টের এই মেশিন লাগাতে চান না।
মশা তাড়ানোর মেশিন যেভাবে কাজ করে
এসব মেশিন হিটারের মতো কাজ করে। এসবে মেশিনে তরল থাকে। যা মেশিনের মাধ্যমে পুরো ঘরে ছড়িয়ে যায়। এই মেশিন এবং তরলের মধ্যে একটি লাইনার কাজ করে। মেশিনের সেই লাইনার উত্তপ্ত হয়ে রিফিলে থাকা তরল পুরো ঘরে ছড়িয়ে দেয়। যার ফলে মশা দূর হয়।
তবে জানেন কি, মশা তাড়ানোর এসব মেশিনে কতটা বিদ্যুৎ খরচ হয়? সংশ্লিষ্টরা জানান, এই মেশিন কতোটা বিদ্যুৎ খরচ করবে তা ব্যবহারকারীর উপর নির্ভর করবে। এটি কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে সেই অনুযায়ী বিদ্যুত বিল আসবে। সাধারণত বাজারে পাওয়া বেশিরভাগ মশা তাড়ানোর মেশিন তৈরি করা হয়েছে বিদ্যুত খরচের কথা মাথায় রেখেই। এগুলো ব্যবহারে যেন ন্যূনতম বিদ্যুৎ খরচ হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে। মশা তাড়ানোর এসব যন্ত্র সারাদিন ব্যবহার করলে ৫ থেকে ৭ ওয়াট বিদ্যুত খরচ করবে। অর্থাৎ একটি নাইট বাল্ব যতটা বিদ্যুত খরচ করে এটিও সেই পরিমাণ খরচ করবে।
পুরো মাস মশা তাড়ানোর মেশিন ব্যবহার করলে কেমন খরচ হয়? হিসেব করে দেখা যায়, মশা তাড়ানোর মেশিন প্রতিদিন প্রায় ১০ ঘণ্টা একটানা ব্যবহার করলে হাফ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে।