তাপমাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গ্রীষ্মের সময় প্রচণ্ড গরম থাকে। এই গরমে নিজের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হয়। এই সময় শরীরে প্রচণ্ড ঘাম হয়। র্যাশ হয়। রাতে ঘুমাতে গিয়েও যেন স্বস্তি মেলে না। গরমে ভালো ঘুম হওয়ার জন্য আরামদায়ক বিছানা অত্যন্ত প্রয়োজন। বিশেষ করে পরিষ্কার চাদরে ভালো ঘুম হয়। তাই গ্রৗষ্মের সময় কিছুদিন পর পরই চাদর পাল্টে নিতে হয়।
গরমে শরীরে যে ঘাম হয় তা থেকে ময়লা জমে যায়। সেই ময়লাও বিছানার চাদরে জমে। তাই গরমের সময় বিছানার চাদরেও অত্যাধিক ময়লা হয়। আবার শরীরের ঘামে চাদর স্যাতস্যাতেও হয়ে যায়। সেই বিছানায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘুমালে অ্যালার্জিসহ বিভিন্ন চর্মরোগ কিংবা সংক্রমণের আশঙ্কাও থাকে। তাই সপ্তাহে অন্তত দুই বার চাদর পাল্টে ধুয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি সপ্তাহে দুইবার বিছানার চাদর বদলে নেওয়া স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। তবে চাইলে এক সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু কোনোভাবেই এর বেশি সময় এক চাদর বিছিয়ে রাখা ঠিক নয়। অনেকেই মাসে একবার বিছানার চাদর বদলান। এটি ভালো অভ্যাস নয়।
তাছাড়াও কয়েকটি অভ্যাস বাদ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বাইরে থেকে ফিরেই বিছানায় শুয়ে পড়া যাবে না। গোসল করে ও বাইরের কাপড় বদলে বিছানায় বসতে হবে। নয়তো সহজেই বিছানার চাদর ময়লা হয়ে যাবে। ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক আগেই গা, হাত-পায়ে ক্রিম মাখা যাবে না। মেকআপ না উঠিয়ে বিছানায় শোয়া যাবে না। আর বিছানায় বসে খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
এদিকে গরমকালে বিছানার চাদর ধোওয়ার সময় কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। যেমন_গরমের সময় বিছানার চাদর ধোয়ার জন্য সামান্য বেকিং সোডা ব্যবহার করতে হবে। এতে ঘামের কারণে দাগ পড়লে তা উঠে যাবে।
চাদর ধোয়ার আগে অন্তত এক ঘণ্টা সাবান পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তবে সারারাত সাবান পানিতে চাদর রাখবেন না। এতে রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
চাদর গরম পানিতে না ধোওয়াই ভালো। এতে ঘামের দাগগুলো সহজে উঠবে না। তাই ঠান্ডা পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলেই হবে। ধুলা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে। ধোয়ার পর অবশ্যই রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। এরপর আলমারিতে তুলে রাখুন।