বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম টেলিভিশন। অবসর সময়ের সঙ্গী এটি। প্রতিটি বাড়িতেই এই বিনোদনের মাধ্যমটি রয়েছে। কোনো সিনেমা দেখা, খেলা দেখা কিংবা খবর দেখতে টেলিভিশন হচ্ছে অন্যতম মাধ্যম। মোবাইল ফোনের যুগে এসেও টেলিভিশনের গুরুত্ব কমেনি। বরং স্মার্ট টেলিভিশন আর্বিভাব হয়ে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়েছে। স্মার্ট টেলিভিশনে ইউটিউব, নেটফ্লিক্সসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত হওয়া যায়। তাই অবসর সময় মানেই রিমোর্ট হাতে টেলিভিশনের সামনে বসে পরা।
অনেকেই রয়েছেন যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা টেলিভিশন দেখেই কাটিয়ে দেন। আবার খুব কাছ থেকে টেলিভিশন দেখেন। যা মোটেও ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞরা জানান, দীর্ঘ সময় টেলিভিশন দেখা উচিত নয়। আর নিরাপদ দূরত্বে থেকেই টেলিভিশন দেখতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, টেলিভিশনের পর্দা আলো নির্গত হয়। যা চোখের জন্য ক্ষতিকর। কাছ থেকে টেলিভিশন দেখলে চোখ ক্লান্ত হয়ে যায়। চোখব্যথা, মাথাব্যথা হয়। একটানা বেশি সময় টেলিভিশন দেখলে চোখের রেটিনার ক্ষতিও হয়। এতে দূরের কিছু দেখতে সমস্যা হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, টেলিভিশন দেখার সময় নিরাপদ দূরত্বে থাকা জরুরি। যেকোনো স্থানেই টেলিভিশন রাখুন না কেন, তা যেন বসার স্থান থেকে অন্তত ১০ ফুট দূরত্বে থাকে। পাশাপাশি সারাদিনে একটানা দুই ঘণ্টার বেশি টেলিভিশন দেখাও নিরাপদ নয়।
বর্তমান সময়ে শিশুরাও টেলিভিশনের প্রতি আকৃষ্টি থাকে। শিশুদের খাওয়ার সময় কিংবা অন্য সময়ও টেলিভিশন দেখতে থাকে। এই কারণেই অল্প বয়সেই বাচ্চাদের চোখে চশমা নিতে হয়। কারণ তাদের দূরের জিনিস দেখতে সমস্যা হতে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, একটানা টেলিভিশনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের পলক স্বাভাবিকের চেয়ে কম পড়ে। যার কারণে চোখ শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই অপলক চেয়ে না থাকাই উত্তম। অন্তত ২০ মিনিট পর পর টেলিভিশন দেখা থেকে বিরতি নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, অন্ধকার বা প্রায় অন্ধকার ঘরে টেলিভিশন দেখাও উচিত নয়। আবার দেয়ালে টেলিভিশন থাকলে তা দেখার জন্য ঘাড় উঁচিয়ে রাখতে হয়। এতে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। তাই চোখের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই টেলিভিশন রাখতে হবে।