• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘ভূত বিয়ে’ কীভাবে হয়?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২৪, ০৫:৩২ পিএম
‘ভূত বিয়ে’ কীভাবে হয়?
ছবি: সংগৃহীত

বিয়ে একটি সামাজিক প্রথা। দুজন মানুষ একসঙ্গে থাকার সামাজিক বৈধতার নামই হচ্ছে বিয়ে। সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে একেক দেশে বিয়ের রীতি একেক রকম। আবার জাতিভেদে বিয়ের প্রথাও ভিন্ন। তবে সব দেশে বা জাতিগত প্রথায় বিয়ে হয় জীবিত দুজন মানুষের মধ্যে। কিন্তু ভূতের বিয়ের কথা কি শুনেছেন? ভূত বিয়ে মানে মৃত মানুষের সঙ্গে জীবিত মানুষের বিয়ের রীতি। অবাক হচ্ছেন! সত্যি পৃথিবীতে এমনও বিয়ের রীতি রয়েছে। যেখানে মৃত ও জীবিত মানুষের মধ্যে বিয়ে হয়। আর সেই বিয়ের নাম হয় ‘ভূত বিয়ে’।

চীনে প্রচলিত রয়েছে বিয়ের এই অদ্ভুত প্রথা। মূলত মৃত ব্যক্তিরও  একজন সঙ্গীর প্রয়োজন থাকে-এই ধরণা থেকেই ভূত বিয়ের প্রথার শুরু হয়। এটি কুসংস্কার হলেও এতেই বিশ্বাস করে এখনও দেশটিতে ভূতের বিয়ের রীতি প্রচলিত রয়েছে বলে জানা গেছে।

সাউথ চায়না মনিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, চীনের কিছু অঞ্চলের মানুষ ভূতের বিয়ের প্রথায় বিশ্বাস করে। মূলত ভূত বিয়ের এই প্রথাটি চালু হয়  খ্রিষ্টপূর্ব (২২১-২০৭) সময়কালে। অর্থাৎ প্রায় ৩০০০ বছর আগেই। চীনের কিছু অঞ্চলের বয়স্ক মানুষেরা বিশ্বাস করেন –কোনো মানুষ যদি ইচ্ছা পূরণ না করেই  মারা যান তারা পরকালে শান্তিতে থাকেন না। তাই মৃত ওই মানুষটি জীবিতদের তাড়না দিতে আবারও ফিরে আসে। এর মধ্যে মৃতদের কেউ যদি অবিবাহিত থাকে  তবে তার আত্মা পরকালে শান্তি পায় না। তাই তাদের আত্মার শান্তির জন্য জীবিত মানুষের সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়।

উত্তর চীনে, শানসি, শানডং এবং হেবেই প্রদেশে এখনও ভূত বিয়ের প্রথা প্রচলিত রয়েছে। এসব অঞ্চলে দুই ধরনের ভূতের বিয়ে প্রচলিত। প্রথম প্রথায় যারা বাগদানের আগে বা বাগদানের পরে মারা যান তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। মৃত মানুষটির বিয়ের স্বপ্নটি অপূর্ণ থাকায় পরিবারের লোকজন বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এরপর দুজনকেই একসঙ্গে কবর দেন।

আরেকটি প্রথা হলে, যেসব মৃত মানুষ বিয়ের আগেই মারা যান এবং তাদের কারো সঙ্গে বাগদানও হয়নি। সেসব মৃত মানুষকে ম্যাচমেকারের মাধ্যমে মরণোত্তর বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। এই প্রথায় ম্যাচমেকাররা বড় পারিশ্রমিক হাতিয়ে নেন। জানা যায়, মৃত বর বা কনের সন্ধান করে দিলেই পারিশ্রমিক হিসাবে দেড় লাখ ইউয়ান পারিশ্রমিক পান ম্যাচমেকাররা।

Link copied!