বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা শুধু মুখের যত্ন নিই, কিন্তু গলা, ঘাড়ের যত্ন আর নেওয়া হয় না । কিন্তু গলা ও ঘাড় আমাদের শরীরের খোলা অংশ, যার কারনে গলা ও ঘাড়ে প্রচুর ময়লা জমা, সানবার্ণ ইত্যাদির জন্য একদম কালো হয়ে যায় । তখন আর চাইলেও শখ করে একটু বড় গলার জামা পরা যায়না গলা ও ঘাড়ের কালো দাগের জন্য । আবার মুখ, হাত পায়ের সাথে গলার, ঘাড়ের সামঞ্জস্যতা থাকে না । গলা, ঘাড়ে অতিরিক্ত কালো দাগ থাকলে কোথাও গেলে অস্বস্তিতে ভুগতে হয় । তাই চলুন আজ আমরা জেনে নেবো কিভাবে সহজ কিছু উপাদান ব্যবহার করে এই সমস্যা দূর করা যায় –
লেবু
এক টুকরো লেবু নিয়ে গলা ও ঘাড়ে লাগান। যদি সেনসিটিভ স্কিন হয় তাহলে লেবুর সাথে সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে নেবেন । ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
আলুর রস
একটা আলু গ্রেট করে তা থেকে রস বের করে নিন । এরপর তুলার মাধ্যমে গলা ও ঘাড়ের কালো জায়গাতে লাগিয়ে রাখুন । শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। দাগ থাকলেও চলে যাবে ।
টকদই
দুই চামচ টকদইয়ের সাথে একটু বেসন মিশিয়ে গলা ও ঘাড়ে লাগান, টকদইতে আছে ন্যাচারাল এনজাইম যা স্কিনকে উজ্জ্বল করে তোলে ।
শসা
শসার রস ন্যাচারাল ভাবে স্কিনকে উজ্জ্বল করে, তাই রোজ নিয়ম করে ঘাড়ে ও গলায় শসার রস লাগান ।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল স্কিনের দাগছোপ তুলতে অনেক হেল্প করে । ঘাড় ও গলায় বেশ কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল নিয়ে ম্যাসাজ করলে ধীরে ধীরে দাগ কমে যায় সেই সাথে অলিভ অয়েল স্কিনকে মসৃণ করে তোলে ।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা স্বাস্থ্যজনিত অনেক উপকার করার পাশাপাশি ত্বকের জন্য ও খুব উপকারী । অ্যালোভেরাতে আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ । এই ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ শরীরে মেলানিনের পরিমান কমিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে ।
নারকেল তেল
রূপচর্চায় নারকেল তেলের ব্যবহার বহু যুগ আগে থেকে হয়ে আসছে । নারকেল তেল গলা ঘাড়ে রেগুলার হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন, দেখবেন দাগ থাকলে ধীরে ধীরে দাগ কমে আসছে ।
কমলার রস
কমলায় আছে ভিটামিন- সি । ভিটামিন- সি স্কিনে প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায়, ত্বক উজ্জ্বল করে । কমলার রস গলা, ঘাড়ে ব্যবহার করতে পারেন ।
টমেটো
গলা ঘাড় সহ ত্বকের যেকোন দাগ দূর করতেই টমেটোর জুড়ি মেলা ভার । টমেটোতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, এছাড়াও টমেটো ন্যাচারাল ব্লিচের কাজ করে । একটি পাকা টমেটোর রস গলা ঘাড়ের কালো স্থানে লাগান নিয়মিত । খুব দ্রুতই পার্থক্য চোখে পরবে ।