কর্মব্যস্ততার ভেতর ঘরে এলেই লাগে প্রশান্তি। আর ঘর সাজানো থাকলে ভালো অনুভূতিও হয়। একসময় সবাই রুচিশীল শোপিস, বাঁধানো পেইন্টিং, আর্টিফিসিয়াল ফুল কিংবা সুন্দর কার্পেট ব্যবহার করে ঘরকে রাঙিয়ে তুলতো। আর সময়ের হাত ধরে ঘরের সৌন্দর্যচর্চায় এখন অনেকেই লাগাচ্ছেন ইনডোর গাছ।
কারণ গাছের সবুজের সতেজতায় ঘর পায় নির্মলতার ছোঁয়া। শুধু ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিই নয় ঘরে রাখা গাছ বায়ু সংশোধনও করে। নাসার এক গবেষণায় এসেছে, ঘরের চারাগাছ বায়ুর ৮৭ শতাংশ দূষণ রোধ করতে পারে। এখন প্রশ্ন হলো, ঘরে কী ধরনের গাছ লাগানো যেতে পারে।
বাজারে এখন বাহারি রঙের ও ডিজাইনের টব কিনতে পাওয়া যায়। সেই সব টবে অ্যালোভেরা, ক্যাকটাস , মানিপ্ল্যান্ট, গোল্ডেন পথোস,পাম, স্নেক প্ল্যান্ট, ফিলোডেনড্রন, ড্রেসিনা, পাতাবাহার, পিস লিলি, ফিশটেইল ফার্ন, স্পাইডার প্ল্যান্ট এসব গাছ দিয়ে ঘর সাজানো যেতে পারে সহজেই।
অ্যালোভেরা গাছের চারার অনেক উপকারিতাও রয়েছে। এর শাঁস ত্বকের ব্রণ, রোদেপোড়া সহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কাজ করে। হালকা আলো ও বাতাসের সংস্পর্শে এই গাছ বেড়ে ওঠে।
ক্যাকটাসও ঘরের শোভা বৃদ্ধি করে। এই গাছের পরিচর্যা খুব সহজে করা যায়। ঘরের যে জায়গায় হালকা সূর্যের আলো আসে সেখানে রেখে দিতে পারেন এই গাছ।
মানিপ্ল্যান্ট ঘরের সৌন্দর্য দ্বিগুণ বাড়িয়ে তুলে। এখন কম-বেশি সবার বাসায় এই গাছের সবুজ পাতা নজর কাড়ে। নিয়মিত হালকা পানিতেই এই গাছ বেড়ে ওঠে খুব দ্রুত।
পিস লিলি ইনডোর গাছ হিসেবে চমৎকার। শুধু সৌন্দর্যই নয়, অ্যাসিটোন এবং বেনজিনের মতো পদার্থ দূর করে ঘরের বায়ুকে নির্মল রাখে এই গাছ।
ঘরের নান্দনিক সৌন্দর্যে স্নেক প্ল্যান্ট এক কথায় দারুণ। বাড়তি যত্ন ছাড়াই এই গাছ বেড়ে ওঠে। গোল্ডেন পথোস গাছের রূপ সবার হৃদয় ছুঁয়ে যায়। এই গাছ ঘরের বাতাসকে দূণষমুক্ত রাখে। এই গাছের লতাও অনেক আকর্ষণীয়। ফিশটেইল ফার্ন গাছটি ঘরে সহজেই বেড়ে উঠতে পারে। সারাবছর এই গাছের সবুজ পাতার সতেজতা মুগ্ধ করে।
ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে দিন দিন ইনডোর গাছের কদর বাড়ছে। ইনডোর গাছ লাগালে ঘর আকষর্ণীয় যেমন লাগে, তেমনি আভিজাত্যের ছোঁয়াও পাওয়া যায়। বায়ু দূষণ থেকেও মুক্তি মেলে। তাই দেরি কেন, এখনই পেশাদার ইন্টেরিয়র ডিজাইনে মনের মতো করে রাঙিয়ে তুলুন আপনার ঘর।