ইতালিতে অস্ত্রোপচার করিয়ে পুরুষ হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন মার্কো নামের এক নারী। লিঙ্গ পরিবর্তনের একেবারে শেষ পর্যায়ের অস্ত্রোপচার অর্থাৎ স্তন বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়ায়ও হয়ে গিয়েছিল তার। সর্বশেষ জরায়ু বাদ দেওয়ার জন্য ‘হিস্টেরেক্টমি’ প্রক্রিয়া করার সময় চিকিৎসকেরা জানতে পারলেন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মার্কো।
ভারতের আনন্দবাজার জানায়, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরেও পুরুষ হওয়ার জন্য বেশ কিছু অস্ত্রোপচার ও হরমোনাল থেরাপির মধ্য দিয়ে গেছেন মার্কো। আর সেই সব কারণে ভ্রূণের কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা নিয়েও চিন্তা ছিলেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোগী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানতে পেরেই তার হরমোন থেরাপি বন্ধ করা হয়েছে। প্রথম তিন মাস ভ্রূণের অঙ্গ বিকাশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ, এই থেরাপি বন্ধ না করা হলে শিশুর বিকলাঙ্গ হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি বেড়ে যেত।
ইতিমধ্যেই মার্কোর শরীরে পুরুষদের বৈশিষ্ট্য যেমন দাড়ি, গায়ের লোমের আধিক্য দেখা দিতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে সন্তান বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়া মার্কোর শরীরের ওপরেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা।
এ ঘটনা নেটমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর চিকিৎসকেরা নানা রকম মন্তব্য করেছেন। অনেকে বলেছেন, এখন মার্কোর শরীরে নারী হরমোন ও পুরুষ হরমোন—দুইয়েরই আধিক্য রয়েছে। কোনো মানুষের শরীরে এ রকম হলে তার হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তবে সব জানার পরে সন্তানকে পৃথিবীতে আনার সিদ্ধান্ত নেন মার্কো। ইতালির আইন অনুযায়ী, কোনো অন্তঃসত্ত্বা সন্তান ধারণের ৯০ দিন পর আর গর্ভপাত করাতে পারেন না, যদি না তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। মার্কো ওই সন্তানের জন্মদাত্রী মা হলেও তিনি আইনিভাবে ওই সন্তানের পিতার পরিচয় পাবেন।