হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব স্বরস্বতী পূজা। এই পূজা হলো বিদ্যার দেবী স্বরস্বতীর আরাধনার বিশেষ উৎসব। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বিদ্যাচর্চার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এই পূজাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে উদযাপন করে থাকেন। শিক্ষার্থীরা এই দিনে নিজেদের বই, খাতা এবং অন্যান্য শিক্ষাসামগ্রী দেবী সরস্বতীর পায়ে রাখে এবং প্রার্থনা করে। এই পূজায় উপাসনা এবং ভোগ নিবেদন ছাড়াও শিক্ষার্থীরা এবং সঙ্গীতপ্রেমীরা নানা রকম অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
সরস্বতীর পূজায় দেবীর উদ্দেশ্যে ভোগ নিবেদন করা হয়। বাগদেবীর আরাধনায় এই বিশেষ ভোগ নিবেদন করলে অপার পূণ্য পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস হিন্দু ধর্মাম্বলীদের।
দেবী সরস্বতীর প্রিয় ভোগ নিবেদন করতে ৩টি পদ রাখা যায়। জানা যায়, মা সরস্বতীর প্রিয় ভোগ সাধারণত ‘পুলিঁড়ি’ এবং ‘খিচুড়ি’ হিসেবে পরিচিত। বাংলা সংস্কৃতিতে দেবী সরস্বতীর জন্য বিশেষ কিছু ভোগও প্রস্তুত করা হয়। এইসব ভোগ দেবী সরস্বতীকে উৎসর্গিত হয়। এই ভোগ নিবেদনের মাধ্যমে শিক্ষা, সঙ্গীত ও কলার দেবী হিসেবে স্বরস্বতীর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করা হয়।
খিচুড়ি
খিচুড়ি মা সরস্বতীর খুবই পছন্দসই একটি ভোগ। চাল, ডাল, মশলা ও তেল সহযোগে এই খাবার তৈরি করা হয়। বাঙালি খাবার হিসেবে প্রায় সব বাড়িতেই খিচুড়ি রান্না হয় এই দিন। সরস্বতী পুজোর সঙ্গে খিচুড়ির যোগসূত্র বেশ পুরোনো।
পুলিঁড়ি
পুলিঁড়ি হলো চাল, ডাল এবং নারকেল দিয়ে তৈরি সুস্বাদু খাবার। সরস্বতী পূজার দিন মা সরস্বতীকে ভোগ হিসেবে এই খাবার নিবেদন করা হয়। কেউ কেউ মিষ্টি যোগ করে এই খাবার তৈরি করেন।
মিষ্টান্ন
দেবী সরস্বতীর বিশেষ ভোগ হিসেবে মিষ্টি খাবার নিবেদন করা হয়। সাধারণ মিষ্টির পাশাপাশি কদমা, বাতাসাও নিবেদন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও এই পূজায় পায়েস এবং সন্দেশ বানানো হয়। যা স্বরস্বতীর ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয়।