পাহাড় যেমন সমতল থেকে ভিন্ন তেমনি সেখানকার খাবারও বেশ ভিন্ন। তাই খাবারের ভিন্নতা আনতে আপনিও খেতে পারেন পাহাড়ের খাবার। তবে সেটা খাওয়ার জন্য পাহাড়ে যেতে হবে না। ঢাকায় বসেও খেতে পারেন। চলুন তেমনই কয়েকটি রেস্টুরেন্টের খবর জেনে নেই-
হেবাং
২০১৮ সালে মিরপুরের কাজীপাড়ায় পাহাড়ের খাবার নিয়ে খোলা হয় রেস্টুরেন্ট হেবাং। হেবাং শব্দের অর্থ ‘ভাপে সেদ্ধ করা খাবার’। এখানে মূলত চাকমাদের খাবার যেমন- ঢেকিছাঁটা চাল আর তুলসি মালা চালের ভাত, ব্যাম্বু চিকেন, শুঁটকি হেবাং, পাজন, কাঁকড়া ভুনা হেবাংয়ে নিয়মিত রান্না হয়। তবে শুক্রবার আর শনিবার মেনুতে আরও কিছু খাবারের পদ যোগ করা হয়। যেহেতু এখানে চাকমাদের খাবার হয় তাই খাবারে শুঁটকির আধিক্য থাকে। তাছাড়া হেবাংয়ে নানা রকম ভর্তাও পাওয়া যায়।মাছ, মাংস, সবজি, শুঁটকির ভর্তার সঙ্গে মেশানো হয় পাহাড়ি ঝাল মরিচ, খেতে চমৎকার লাগে। পাবেন বিন্নি চালের পায়েস, বড়াপিঠা এবং কলাপিঠা আর তেঁতুল চাও।
জাবা
ঢাকার ফার্মগেটে দেখা মেলে `জাবা` রেস্টুরেন্ট। গারোদের ভাষায় `জাবা` শব্দের অর্থ তরকারি। জাবা ২০১৯ সালে ফার্মগেটে যাত্রা শুরু করে। প্রতিদিন প্রায় ১৪/ ১৫টির মতো খাবারের পদ রান্না হয় এখানে। কলাপাতায় ছোটমাছ, ফিশ উথেপা, চিকেন গপ্পা, হাঁস ব্যাম্বু শুট কষা, মাশরুম ভেজিটেবল ফ্রাই, চেপা শুঁটকি ভর্তা, টাকি মাছের ভর্তা সঙ্গে রয়েছে বিন্নি চালের ভাত। চাইলে সঙ্গে পঞ্চ বটির ডাল নিয়ে নিতে পারেন এক বাটি। এগুলো সবই গারোদের খাবার। গারোদের খাবারের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী, এই রান্নাগুলোতে তেল-মসলার ব্যবহার খুব কম।
মেজাং রেস্টুরেন্ট
মিরপুরেই কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই রেস্টুরেন্ট অবস্থিত। পাহাড়ি খাবার ছাড়াও আছে চিকেন বিরিয়ানি, চিকেন চিলি, চিকেন কারি, আলু ভর্তা, বেগুন ভর্তা, কচু ভর্তা। যারা খাদ্যরসিক এবং নিত্য নতুন খাবারের স্বাদ গ্রহণের জন্য ঘুরে বেড়ান, তাদের জন্য ‘মেজাং’ হতে পারে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
এছাড়াও হোম ডেলিভারি দেয় সাবেরেং। মা দেবলক্ষ্মী চাকমা ও মেয়ে পারাহিতা চাকমা হোম কিচেন শুরু করেন ২০১৭ সালে। মাঝখানে দুবছর বন্ধ থাকলেও করোনাকালে ব্যাপক সাড়া পান। চাকমাদের মজার মজার সব খাবার পাওয়া যায় এখানে। তবে সাবেরেং হুরো আর মাংস মরিচ গোদিয়্যে একটু বেশিই জনপ্রিয়।