শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, দৈনিক একটি করে ফল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। এটি ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো করবে। প্রতিদিন ফল কেনা তো হয় না। একেবারেই বেশি করে বিভিন্ন ধরণের ফল কিনে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। বাইরের আবহাওয়ায় ফল দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হয়। কিন্তু কিছু ফলের ক্ষেত্রে এটি ব্যতিক্রম। যেগুলো ফ্রিজে রাখলে স্বাদ, গঠন এবং পুষ্টির মান নষ্ট হয়। যা বাইরে রেখেই খাওয়া ভালো এবং অল্প পরিমাণে কিনে দ্রুত খেয়ে শেষ করাই ভালো।
কলা
কলা ফ্রিজে রাখা যাবে না। ফ্রিজে রাখলে কলার খোসা কালো হয়ে যায়। আবার কলা দ্রুত পাকেও না। স্বাদও নষ্ট হয়। তাই কলা ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা ভালো। এতে সতেজ থাকবে এবং স্বাদও ঠিক থাকবে।
আপেল
আপেল সবসময় ফ্রিজে রেখেই খাওয়া হয়। কারণ আপেল ফ্রিজে থাকলে দ্রুত নষ্ট হবে না। কিন্তু জানেন কি, ফ্রিজে থাকা আপেলের পুষ্টিগুণ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। বরং ঘরের তাপমাত্রায় আপেলগুলোকে কাগজে মুড়িয়ে রাখতে পারেন। দীর্ঘ সময় ভালো থাকবে।
নাশপাতি
ফ্রিজে রাখলে নাশপাতি দ্রুত নষ্ট হয়। পুষ্টিগুণও কমে যায়। দ্রুত পচন ধরে। এমনকি নাশপাতিতে বিষক্রিয়াও হতে পারে। যা খেলে পেটের অসুখ হতে পারে।
আম
আম ফ্রিজে রাখা যাবে না। এতে আম পাকানোর প্রক্রিয়া নষ্ট হয়। স্বাদও নষ্ট হয়। আমের সম্পূর্ণ স্বাদ উপভোগ করতে ঘরের তাপমাত্রায় রাখুন।
কমলা
ফ্রিজে কমলা রাখা যাবে না। এতে কমলা শুষ্ক হয়ে যায়। ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন। এতে কমলা সতেজ থাকে এবং স্বাদও ঠিক থাকে।
লেবু
লেবুতে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকে। ফ্রিজের তাপমাত্রায় লেবুর অ্যাসিডিক গুণ নষ্ট হয়। ফ্রিজের ঠান্ডায় লেবুর শাঁস শুকিয়ে যায়। এমনকি বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই লেবু ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন।
পেঁপে
পেঁপে ঘরের তাপমাত্রাতেই সংরক্ষণ করুন। ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে পেঁপের স্বাদ এবং গঠন পরিবর্তন হয়ে যায়। এছাড়াও পেঁপে পাকার প্রক্রিয়াও ধীর হয়। তাই পেঁপে পাকাতে ফ্রিজের বাইরেই রাখুন।
লিচু
গরমে লিচু পাওয়া যায়। প্রচুর পরিমাণে লিচু কিনে খাওয়া হয়। এগুলো সতেজ রাখতে ফ্রিজে রাখছেন? এতেই হচ্ছে ভুল। লিচু ফ্রিজে থাকলে খোসার সতেজতা বজায় থাকে। কিন্তু লিচুর ভেতর থেকে নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘ সময়ের জন্য তাজা রাখতে পানিতে সংরক্ষণ করতে পারেন।
তরমুজ
তরমুজ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। গরমে তো আরও দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই অনেকেই তরমুজ ফ্রিজে রেখে খান। এটিও ঠিক নয়। ফ্রিজে তরমুজ রাখলে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কমে যায়। পুষ্টিগুণও নষ্ট হয়ে যায় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
আনারস
আনারস ফ্রিজে সংরক্ষণ করবেন না। এতে এর গঠন এবং স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। ফ্রিজে রাখলে আনারস খুব নরম হয়ে যায়। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আনারস সংরক্ষণ করলে সতেজ থাকে। আনারস পুরোপুরি পেকে গেলে এক থেকে দুই দিনের জন্য ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। এর বেশি সময় নয়।