• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩০, ৪ রজব ১৪৪৬

নতুন বছর থেকে জন্ম নেবে নতুন প্রজন্ম ‘জেন বিটা’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
নতুন বছর থেকে জন্ম নেবে নতুন প্রজন্ম ‘জেন বিটা’
সূত্র: সংগৃহীত

প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বদলেছে। নতুন প্রজন্ম এসে পুরোনো প্রজন্মকে ছাপিয়ে গেছে। চিন্তাধারা, বুদ্ধিমত্তায় কয়েকগুণ এগিয়ে চলে নতুন প্রজন্ম। প্রজন্মের এই অবদানকে মনে রাখতে তাদের নামকরণ করা হয়। যেমন, মিলেনিয়াম, জেন জি প্রজন্মের পর ধারাবাহিকতায় চলছে আলফা প্রজন্ম। ২০২৪ সাল পর্যন্ত জন্মগ্রহণ করা প্রত্যেক শিশুই আলফা প্রজন্মের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু নতুন বছর পা রাখতেই বদলে যাচ্ছে প্রজন্ম। হ্যা, বদলের ধারাবাহিকতায় এবার আসছে জেন বিটা প্রজন্ম।

২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে যেসব শিশু পৃথিবীতে জন্ম নেবে সবাই জেন বিটা প্রজন্ম হিসেবে পরিচিতি পাবে। এই প্রজন্ম চলবে ২০৩৯ পর্যন্ত। আগামী ১৫ বছর ধরে জন্ম নেওয়া শিশুরা বিটা জেনারেশনের সদস্য হবে। জেন আলফার পরবর্তী প্রজন্ম হিসেবে তারা পরিচিতি পাবে।

প্রজন্মের ধারাবাহিকতার ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, প্রতি ১৫ বছর পরপরই জেনারেশন অর্থাত্ প্রজন্ম তার নাম বদলায়। ২০১০ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত জন্ম নেওয়া সবাই জেনারেশন আলফার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া সবাইকে বলা হয় জেন জেড বা জেন জি। এর আগে ছিল মিলেনিয়াল প্রজন্ম। যারা ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত জন্ম নিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জেন জি প্রজন্মের ছাপ পাওয়া যাবে জেন বিটা প্রজন্মের মধ্যে। কারণ জেন জি প্রজন্মের পরবর্তী প্রজন্মরা জেনারেশন বিটাতেই জন্ম নেবে।

প্রজন্মের ধারাবাহিকতার এই নামকরণের কৃতিত্বের পেছনে রয়েছেন সোশ্যাল রিসার্চার মার্ক ম্যাকক্রিন্ডল। নতুন প্রজন্মের আগমন বার্তা সেখান থেকেই বিশ্বকে জানিয়ে দেওয়া হয়।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জেনারেশন বিটা শিশুদের অনেকেই ২২ শতকের মুখ দেখবেন। ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির সাহচর্যে বড় হবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির প্রভাব থাকবে তাদের কর্মকাণ্ডে। শুধু তাই নয়, এই প্রজন্ম প্রথমবার বেশি ব্যবহার করবে স্বয়ংক্রিয় গাড়ি, ওয়্যারেবল হেল্‌থ টেকনোলজি এবং ইমার্সিভ ভার্চুয়াল এনভায়রনমেন্ট।

জেনারেশন বিটা প্রসঙ্গে ম্যাকক্রিন্ডল ব্লগে লিখেন, ‘জেনারেশন আলফা দেখেছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং স্মার্ট প্রযুক্তির জন্ম। জেনারেশন বিটা সেখানে বাঁচবে এমন এক সময়ে যখন রোজকার জীবন, শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র, স্বাস্থ্য এবং বিনোদনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং অটোমেশন।’

জেনারেশন বিটা–র সুন্দর ভবিষ্যতের পাশাপাশি বিপদের শঙ্কাও কম নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক ভালো কিছুর মধ্যে বিটা প্রজন্মের কেউ কেউ হুমকির মুখে পড়বেন। কারণ নিয়মিত পরিবেশ ও আবহাওয়ার পরিবর্তন হুমকি হয়ে দাড়াবে। পৃথিবীর তাপমাত্রার অসামঞ্জস্যতা বাড়বে। যা নিয়ন্ত্রণে কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানো হবে বড় চ্যালেঞ্জ। দূষণ–বিহীন জ্বালানির উপায় খুঁজতে হবে। জঙ্গলের অপ্রাতুল্যতায়, গ্লোবাল পপুলেশন ডাইনামিক্সে জেন বিটা প্রজন্মকে মুখোমুখি হতে হবে।

শুধু তাই নয়, যুদ্ধ, দারিদ্রের কারণে উন্নত দেশের উপর যে চাপ বাড়ছে তা সামলে নিতে হিমশিম খাবে বিটা জেনারেশন। তবে বিশেষজ্ঞরা জানান, পুরোনো প্রজন্মের তুলনায় নতুন প্রজন্ম পরিবেশ নিয়ে বেশি সচেতন থাকে। জেনারেশন আলফাদের মধ্যেও তেমনটাই দেখা গেছে। সেই ধারাবাহিকতা ঠিক থাকলে জেন বিটাও সেই পথেই হাটবে। প্রযুক্তির ব্যবহারে তারা মুক্তির পথও বের করবে বলে আশা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Link copied!