মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক নারী। মৃত্যুর পর চলছিল অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। সমাধিস্থ করার আগে শোকার্ত স্বজনেরা ওই নারীর কাপড় বদলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ তারা দেখেন কফিনে শুয়ে ওই নারী জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছেন। কফিনের ঢাকনা খোলা থাকলেও পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে তিনি হাঁপাচ্ছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কফিন থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। গত শুক্রবার লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে এমনই আশ্চর্যজনক এক ঘটনা ঘটেছে। বেলা মনতোয়া (৭৬) নামের ওই নারীর বর্তমানে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে। ইকুয়েডরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ ঘটনা তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন।
এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ওই নারীর কার্ডিওরেসপিরেটরি (হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা) একেবারে কমে গিয়েছিল। তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন না। এ কারণে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মনতোয়ার ছেলে গিলবার রডোল্ফ বালবার স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, তার মাকে সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরের দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মনতোয়াকে বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য কফিনে রাখা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, খোলা একটি কফিনে মনতোয়া শুয়ে আছেন। তিনি জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছেন। তার চারপাশে অনেক মানুষের ভিড় জমেছে। একপর্যায়ে প্যারামেডিক এসে মনতোয়াকে পর্যবেক্ষণ করেন। এরপরই তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একই হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন।
বেলার ছেলে বালবেরান বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, এখন শুধু মায়ের জন্য প্রার্থনা করছি। মাকে আমি আমার পাশে চাই।