• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভেতর থেকে চুলে পুষ্টি জোগাতে যেসব খাবার খাবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৪, ০২:০৩ পিএম
ভেতর থেকে চুলে পুষ্টি জোগাতে যেসব খাবার খাবেন
ছবিঃ সংগৃহীত

চুলের যত্নে লৌহ, প্রোটিন ও অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিডের পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও প্রয়োজনীয়। এদের কোনো একটার ঘাটতি হলেই চুলের নানান ধরণের সমস্যা হয়। চুল পড়া থেকে শুরু করে আরও কিছু ডেমেজ হয়। তাই চুলকে উজ্জ্বল ও ভালো রাখতে সঠিক খাদ্যাভাস রাখা উচিত। খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার রাখতে হবে যেগুলোতে চুলের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান আছে। যেমন-  

বাদাম
সাধারণত চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে ওমেগা-৬ ফ্যাটের অভাবে। আর এই ওমেগা-৬ ফ্যাটের অভাব পূরণ সম্ভব বাদাম খেলে। তাই দৈনিক খাদ্যতালিকায় চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম ও ওয়ালনাটের মতো বাদামজাতীয় খাবার রাখা যেতে পারে। তবে একই দিনে সব ধরণের বাদাম খাওয়া উচিত না। পরিমাণ মেপে খেতে হয়।

সামুদ্রিক মাছ

সামুদ্রিক মাছে ওমেগা-৩-এর মতো ফ্যাটি এসিড থাকে, যা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে উপস্থিত অন্যান্য খাদ্য উপাদান চুল মজবুত রাখতে সাহায্য করে।

হলুদ সবজি ও ফলমূল
হলুদ সবজি ও ফলমূল ভিটামিন এ-তে ভরপুর। চুলের ফলিকলের জন্য ভিটামিন এ খুবই প্রয়োজনীয়। দিনপ্রতি আমাদের যতটুকু ভিটামিন এ প্রয়োজন, তাঁর চেয়ে বেশি জোগান দিতে পারে মাত্র আধাকাপ পরিমাণ গাজর। তাই প্রতিদিন কিছু হলুদ সবজি ও ফলমূল খেলে চুল ভালো থাকে।

গ্রিক ইয়োগার্ট বা গ্রিক দই
গ্রিক ইয়োগার্ট বা গ্রিক দই চুল পড়া বন্ধ করে এবং পাশাপাশি চুলের গোড়া শক্ত করে। গ্রিক ইয়োগার্টে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। নিয়মিত গ্রিক ইয়োগার্ট খেলে চুল হবে ঘন ও মজবুত।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন গাজর, টমেটো, লেবু ইত্যাদি কোলাজেন তৈরি করে চুল পড়া কমায়, চুলের আগা ফাটা রোধ করে বৃদ্ধিসাধন করে। ত্বকের দাগ দূর করে মসৃণতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

তৈলাক্ত মাছ
ইলিশ, কই, মলা, চাপিলা মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটের ভালো উপস্থিতি আছে। এসব মাছ খেলে চুল ঘন ও কালো হয়, সেই সঙ্গে আমিষের অভাবও পূরণ করে।

ডিম
চুলের জন্য আমিষ অত্যাবশ্যকীয়। আর সেই আমিষ পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় ডিমে। তাছাড়া ডিমে আমিষ ছাড়াও বায়োটিন, সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি-১২ ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তাই খাবারের তালিকায় ডিম রাখুন।

পালংশাক
পালংশাকে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন ও ফলেট। এগুলো চুলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান, যা চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়।

মিষ্টি আলু
চুলের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন আছে মিষ্টি আলুতে। যা মাথার ত্বক সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

ছোলা
চুলের জন্য উপকারী তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে ছোলায়। সেগুলো হলো—আয়রন, জিংক ও আমিষ বা প্রোটিন।

ফল
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফল রাখা উচিত। বিশেষ করে চুলের জন্য টক জাতীয় ফল। যেমন-আমলকী, লেবু, কমলা, মাল্টা, আঙুর, কাঁচা আম, কিউই হলো টকজাতীয় ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। সুন্দর চুলের জন্য ভিটামিন সি খুব দরকারি। এর অভাব হলে চুল পেঁচিয়ে যায়। চুল পড়া বেড়ে যায়। তাই খাদ্যতালিকায় এসব ফল রাখতে হবে। 

Link copied!