১৯৯৪ সালে হলিউডে একটি কমেডি সিনেমা মুক্তি পায়। নাম ‘জুনিয়র’। সিনেমার প্রধান চরিত্রে ছিলেন আর্নল্ড সোয়ার্জনেগার। বড়পর্দায় তিনিই প্রথম গর্ভধারণের ভূমিকায় অভিনয় করেন। অর্থাত্ ওই সিনেমায় বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে একজন পুরুষও যে সন্তান জন্ম দিতে পারেন তার প্রমাণ দেয়। সেই সময় সিনেমাটি দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন। ঘটনাটি অবাস্তব মনে হলেও, বর্তমান সময়ে তা মোটেও অবাস্তব নয়। বরং বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে পুরুষরাও এখন সন্তানধারণে সক্ষম হচ্ছেন। তবে ঘটনাটি একটু অন্যরকম!
টমাস ট্রেস বেটি একজন মার্কিন লেখক। যিনি পুরুষ হয়েও সন্তান ধারণ করেছেন। জানা যায়, ২০০২ সালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কৃত্রিম উপায়ে তিনি গর্ভধারণ করেন। তিনি হয়ে যান প্রথম ‘দ্য প্রেগনেন্ট ম্যান’ বা অন্তঃসত্ত্বা পুরুষ।
টমাস বহুদিন ধরেই সন্তানের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তার প্রথম স্ত্রী ন্যান্সি গিলেসপি সন্তানধারণে অক্ষম ছিলেন। কারণ ন্যান্সি একসময় পুরুষ ছিলেন। এদিকে টমাসও নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হয়েছিলেন। এরপর তারা বিয়ে করেন। কিন্তু টমাসের পুরুষ জননাঙ্গ কিংবা গর্ভাশয় ছিল না। তাই তিনি শুক্রাণুদাতার মাধ্যমে মা হওয়ার চেষ্টা করেন। চেষ্টা সফলও হয়েছেন। একে একে তিনটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন টমাস। এদিকে নবজাতক তিনটি শিশুকেই স্তন্যপান করিয়েছেন ন্যান্সি।
টমাস জানান, তার প্রথম সন্তানের নাম সুসান। বয়স ১২। এরপরের সন্তানের নাম অস্টিন। যার বয়স ৯ বছর। সবশেষে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন। যার নাম জেনসেন। বয়স ৬ বছর। তিন সন্তান আর স্ত্রী ন্যান্সিকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় থাকছেন টমাস। বর্তমানে তারা সুখী জীবনযাপনও করছেন।
সূত্র: নিউজ১৮