প্রযুক্তির উন্নয়নে নানান সত্য মিথ্যা আমাদের চোখের সামনে ভেসে বেড়ায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ রাখলে দেখা যায় নানান ধরণের ছবি। সত্য মিথ্যা যাচাই না করেই সেগুলো আবার শেয়ারও করেন। এতে অনেক সময়েই নিজের অজান্তে গুজব ছড়ান। এই যেমন এরই মধ্যে বন্যার পানিতে গলা পর্যন্ত ডুবে থাকা এক আতঙ্কগ্রস্ত শিশুর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। সেটাকে সত্য ভেবে অনেকেই নানান আবেগঘন কথা লিখে শেয়ার দিতে দেখা যায়। আসলে এটা কোনও সত্য ছবি ছিল না। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই দিয়ে তৈরি ছবি। তাই গুজব রটানো থেকে দূরে থাকতে বা সঠিক বা ভুল তথ্য যাচাই করা উচিত। চলুন জেনে নেই ফ্যাক্টচেকের পদ্ধতি-
- ছবির সত্যতা যাচাই করতে বা ছবিটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে করা কিনা যাচাই করতে দরকার আপনার তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণী দক্ষতা। যেকোন ছবি দেখলে সেটা ভালো ভাবে খেয়াল করতে হবে। দাবির সঙ্গে ছবিটির মিল আছে কিনা সেটা খেয়াল করতে হবে। ছবিটির ফটোগ্রাফার, তোলার স্থান ও সময়ের মাধ্যমে বর্তমানের যে প্রেক্ষাপটে ছড়িয়েছে তা মিলিয়ে দেখতে হবে। ছবিটি যদি কোনও মানুষের হয় তাহলে ছবিটি প্রকাশে যা দাবি করা হচ্ছে তার সঙ্গে ছবির মানুষটির নাক কান গলা এমনকি কপাল মিলিয়ে দেখলেই অনেককটা নিশ্চিত হওয়া যায়।
- অনেক সময় দেখা যায় অন্য কোন দেশের বা অন্য কোন সময়ের ছবি বর্তমান সময়ের দাবি করে যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে গুগল লেন্স ব্যবহার করে ছবির সত্যতা যাচাই করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রথমে ছবির ওপরে ‘রাইট ক্লিক’, এরপর ‘সার্চ ইমেজ উইথ গুগল লেন্স’ ক্লিক করলে নতুন ট্যাব ওপেন হবে এবং ছবিটি কোথাকার সেটা চলে আসবে।
- ইয়ানডেক্স একটি সার্চ ইঞ্জিন। এটি ব্যক্তির চেহার অন্য যেকোন সার্চ ইঞ্জিনের চেয়ে ভালো ডিটেক্ট করতে পারে। ফলে ছবিতে যে মানুষের চেহারা স্পষ্টভাবে দেখা যায়, সেগুলো সার্চ ফলাফলে অন্য সার্চ ইঞ্জিনের চেয়ে ইয়ানডেক্সে ভালো দেখা যায়।
- ছবিটি কোন স্থানের বা ঘটনার ভৌগোলিক অবস্থান বের করুন গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে। গুগল ম্যাপ ব্যবহার করেই কাজটি করা যায়।
- কোন ছবির সত্যতা যাচাই করার জন্য ছবিকে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে আপলোড করে সেই ছবি অনলাইনের কোন কোন মাধ্যমে আছে সেটা জানা যায়। এতে ছবির মূল উৎস খুঁজে পেতে সহজ হয়।