দরজায় কড়া নাড়ছে দীপাবলি। হিন্দু ধর্মাম্বলীদের অন্যতম উৎসব এটি। এই উত্সবে ঘরের চারপাশ আলো দিয়ে সাজানো হয়। প্রদীপ জ্বালিয়ে, আতশ বাজি ফুটিয়ে ধুমধাম করে উদযাপন হয় এই উত্সব। ছোট বড় সবাই এক তালে মেতে উঠেন। আতশবাজি, তারাবাতি জ্বালানো, ফাটকা ফোটানো উপভোগ করেন। এসবের আয়োজন ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়ে ভুলে গেলে চলবে না। বিশেষ করে দীপাবলীতে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ অসাবধানতাবশন আতশবাজি থেকে দগ্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আবারফাটকার ধোঁয়া থেকে চোখের জ্বালা, শ্বাসকষ্টসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দীপাবলির উত্সবে শিশুদের নিরাপদে রাখুন।
শিশুকে দূরে রাখুন
দীপাবলিতে আতশবাজি কিংবা ফাটকা ফুটানো হবেই। শিশুরা এই মুহূর্ত বেশি পছন্দ করে। কিন্তু ফাটকার ধোঁয়া তাদের জন্য ক্ষতিকর। যা থেকে শিশুদের শ্বাসকষ্টও হতে পারে। তাছাড়া এই দিনটিকে চারপাশে সবাই ফাটকা ফুটায়। তাতে পরিবেশও দূষিত হয়। তাই শিশুকে ঘরের বাইরে যেতে না দেওয়াই ভালো। বরং ঘরেই হালকা আতশবাজি কিংবা প্রদীপ জ্বালিয় দীপাবলীর উত্সব উদযাপন করুন। তবে খেয়াল রাখবেন, এই সময় শিশুর অ্যাজমা এবং অন্যান্য শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই সন্তানকে N95 মাস্ক পরিয়ে রাখুন।
সুরক্ষা চশমা পরিয়ে নিন
শিশু ফাটকা ফোটানোর সময় যেন আগুনের কণা চোখে না লাগে, খেয়াল রাখুন। যেদিকে ফাটকা ফুটানো হবে তার বিপরীত দিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখতে বলুন। শিশুর চোখে সুরক্ষা চশমা পরিয়ে রাখতে পারেন। ফাটকা ফোটানোর সময় হাত চোখে দেওয়া উচিত হবে না। ভালো করে হাত ধুয়েই এরপর মুখ কিংবা চোখে হাত দেওয়া যাবে।
নজরদারিতে রাখুন
শিশুরা উত্সবে একটু বেশি উত্তেজিত হয়ে যায়। তাই তাদের সবসময় নজরদারিতে রাখুন। শিশু যখন ফাটকা ফোটাবে, তার সঙ্গেই থাকুন। বয়স অনুযায়ী তাকে ফাটকা কিনে দিন। যেকোনো দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে ফাটকা ফোটানোর পরই শিশুকে সরিয়ে নিন।
উচ্চ শব্দে ক্ষতি
শিশুদের কান অনেক সংবেদনশীল হয়। দীপাবলিতে ফাটকার শব্দ শিশুদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ফাটকার শব্দে দীর্ঘক্ষণ থাকলে শিশুদের কানে সমস্যা হবে। তাই শিশু যদি ৫ বছরের কম হয় তবে তাদের ফাটকা থেকে দূরে রাখুন। এছাড়াও শিশুদের কানে তুলোর বল লাগিয়ে রাখতে পারেন।
খাবারের নিরাপত্তা
দীপাবলিতে নানা রকম মিষ্টি ও খাবার থাকে। শিশুরা যেন অতিরিক্ত মিষ্টি না খায় তা খেয়াল রাখুন। এছাড়াও তেলে ভাজা খাবার থেকেও দূরে রাখুন। নয়তো উত্সবের আনন্দের মাঝেই শিশুর পেটের অসুখ শুরু হয়ে যাবে। বিশেষ করে ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিংয়ের সমস্যা হওয়া থেকে আগেই সতর্ক হোন।