শিশুর একটা নির্দিষ্ট বয়স পর থেকেই কথা বলা শিখে। আধো আধো করে সে মা-বাবা, দাদা-নানা বলা শেখে। তারপর ধীরে ধীরে দুই বছরের একটি শিশু সাধারণ আদেশ এবং প্রশ্ন বুঝতে পারার পাশাপাশি বিভিন্ন শব্দের সংমিশ্রণে কথা বলতে শিখে যায়। তার বেশিরই শেখে মা বাবার কাছ থেকে। তাই শিশু যাতে নতুন নতুন শব্দ শিখতে পারে ও তার অর্থভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়, সে জন্য অগ্রনী ভূমিকা নিতে হবে বাবা-মাকেই।
- যৌথ পরিবার হলে শিশুরা অনেক মানুষের সংস্পর্শে থাকে তখন শিশুরা দ্রুতই কথা শেখে। তবে যদি তা না হয় তাহলে মা-বাবাকেই এ দায়িত্ব নিতে হয়। তাই মা-বাবার প্রথম কাজ হবে শিশুর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা। এতে শিশু বুঝার চেষ্টা করবে তার মা-বাবা কী বলছেন। তাই শিশুর চোখের দিকে তাকিয়ে অনর্গল কথা বলে যেতে হবে। ঘরের সবকিছু বুঝাতে হবে। এবং তাকে দিয়েও বলানোর চেষ্টা করতে হবে।
- এসময় যেহেতু একক পরিবারই গড়ে উঠেছে তাই শিশুরা তার মা-বাবার সঙ্গেই বেশির ভাগ সময় থাকে। তাই শিশুকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার অভ্যাস শুরু করুন। বাইরে গেলে অনেক ধরণের মানুষের দেখা পাবে। অনেক ধরণের কথা শুনবে। এতে তার মনে নানান ধরণের প্রশ্ন তৈরি হবে। আর সেখান থেকে তার শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হবে।
- শিশুর অস্পষ্ট শব্দ গুলো ঠিক করে দিতে হবে। শিশুরা শুরুতে অস্পষ্ট আধো বুলি উচ্চারণ করে। তাই এসময় তার উচ্চারণ ঠিক করে দিতে হবে। তাকে অর্থযুক্ত কথা বলা শেখাতে হবে।
- শিশুর সঙ্গে মজার মজার খেলা খেলুন। এক্ষেত্রে রাখতে পারেন শব্দ নিয়ে খেলা। তাতে প্রতিদিন যাতে অন্তত একটি নতুন শব্দ শিখতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখুন।
- শিশুকে গল্প পড়ে শুনান। নতুন নতুন গল্পে নতুন নতুন শব্দ শিখবে সে। তারপর তাকে সেই গল্প বুঝিয়ে বলুন। তাতে তার শব্দভাণ্ডার উন্নত হবে।
- ধীরে ধীরে শিশুর সঙ্গে সমাজ ও পরিবেশের বিভিন্ন বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলুন। তাতে শিশুও ধীরে ধীরে এসব শব্দ শিশু শিখবে।