• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঘরে বসে বৃষ্টিভেজা বিকেলটাকে উপভোগ করবেন যেভাবে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪, ০৪:৪২ পিএম
ঘরে বসে বৃষ্টিভেজা বিকেলটাকে উপভোগ করবেন যেভাবে

আকাশজুড়ে মেঘের পর মেঘ। নামছে বৃষ্টিও। এমন দিনে আপনিও হয়তো ঘরে বসে শৈশবের হুল্লোড়ের দিনগুলোর কথা ভেবে আনমনা হয়ে পড়েছেন। প্রিয় কারও জন্য হয়তো মন কেমন যেন করে ওঠে। কবি জীবনানন্দ দাশের ভাষায়, ‘সব কাজ তুচ্ছ হয়—পণ্ড মনে হয়, সব চিন্তা–প্রার্থনার সকল সময় শূন্য মনে হয়, শূন্য মনে হয়।’ অর্থাৎ মেঘ-বৃষ্টির ধূসর দিনে মন খারাপের একটা অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন অনেকে। এমন হলে কী করবেন? কিছু কাজের মাধ্যমে ঘরে বসেই বর্ষার বোরিং এই দিনটাকে রঙিনভাবে উপভোগ করতে পারেন।

১.  রান্না
বৃষ্টির দিনে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের মাথায় আসে ভাজাপোড়া খাওয়ার কথা। তেমন মনে হলে চলে যান রান্নাঘরে। রান্নাবান্নার অভ্যাস না থাকলেই বা সমস্যা কী! একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষাই না হয় করলেন। বাড়ির দক্ষ কারও সাহায্য নিয়েও রান্না করতে পারেন। পিঠা, পাকোড়া বা জিলাপির মতো মুখরোচক কিছু বানিয়ে ফেললে বৃষ্টির দিনে খারাপ লাগবে না।

২. সিনেমা
বাইরে বের হতে না পারলে সময় যেন কাটতেই চায় না। তাই বৃষ্টির দিনে ঘরে বসে দেখতে পারেন সিনেমা অথবা পছন্দের ওয়েব সিরিজ। রোম্যান্টিক অথবা কমেডি সিনেমা হলেই ভালো, মন ফুরফুরে থাকবে।

৩. বই
বৃষ্টির দিনে ঘরে বসে একাকিত্ব বোধ করছেন? ভালো একটি বই হাতে নিন। এক কাপ গরম চা অথবা কফি নিয়ে বসে পড়ুন। বৃষ্টির টুপটাপ শব্দ বইয়ের প্রতিটি বাক্য আরও মধুর করে তুলবে।

৪. গান
গানপ্রেমীদের জন্য বৃষ্টি মানেই যেন রবীন্দ্র সংগীত। আবার অনেকে শোনেন ক্লাসিক্যাল। বৃষ্টির ছন্দের সঙ্গে পছন্দের গানের মূর্ছনা একাকার হয়ে অন্যরকম ভালোলাগা তৈরি করে।

৫. ঘরোয়া খেলা
আশি এবং নব্বইর দশকে গ্রামে বর্ষাকালে ঘরের বারান্দায় বসে লুডু খেলার চল ছিল। নগর কিংবা গ্রাম যেখানেই থাকেন বৃষ্টির দিনে আপনিও পরিবার কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে লুডু, তাস, ক্যারমের মতো খেলা উপভোগ করতে পারেন।

৬. আড্ডা
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে পরিবার, আত্মীয় এবং বন্ধুদের সঙ্গে মুখোমুখি আড্ডার দারুণ উপলক্ষ হতে পারে বৃষ্টি। মুখরোচক শুকনো খাবার নিয়ে সবাই মিলে বসুন। দেখবেন, হাসি-ঠাট্টার মাঝে বাবা-মা, দাদা-দাদির স্মৃতিচারণও উপভোগ্য হয়ে উঠবে।

বৃষ্টির দিনে ঘরে একেবারেই মন না টিকলে বেরিয়ে পড়তে পারেন। বর্ষার দিনগুলো উপভোগের জন্য বাইরেও কিন্তু অনেক উপলক্ষ আছে।

৭. সাংস্কৃতিক ইভেন্ট
ইনডোরে যদি কোনো অনুষ্ঠান থাকে যেমন মঞ্চনাটক কিংবা কনসার্ট, সেখানে চলে যেতে পারেন। আর্ট গ্যালারি বা জাদুঘরেও ঘুরে আসতে পারেন।

৮. খাই-দাই
ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ুন। অবশ্যই ছাতা নিতে ভুলবেন না। ভিজে গেলে সব পরিকল্পনা মাটি হয়ে যেতে পারে। এরপর চলে যান পছন্দের রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফেতে। নতুন রেস্টুরেন্টেও অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। অনেক জায়গায় ফুচকা, চটপটি, ঝালমুড়ির মতো ভালো স্ট্রিটফুড পাওয়া যায়, সেগুলোও খেতে পারেন।

বৃষ্টি মানুষকে ঘরে আটকে দেয়। এটা কিন্তু একে অপরের আরও কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। তাই বৃষ্টিকে বিরক্তির কারণ না বানিয়ে উপভোগ্য করে তুলুন।

Link copied!