রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। প্রতিদিন এক কোয়া রসুন খেতে পারলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এটি উচ্চরক্তচাপ কমিয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থেকে দূরে রাখে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে।
মস্তিষ্কের রোগ আলঝেইমার বা স্মৃতিভ্রম প্রতিরোধ করে। শরীরের চর্বি ঝরিয়ে দিতে বেশ কার্যকর। রসুন ক্লান্তি দূর করে শরীরে কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এটি হজমেও সাহায্য করে। প্রতিদিন তরকারিতে রসুন তো খাওয়া হয়ই।
তবে রসুনের আচারও বেশ জনপ্রিয়। সঠিকভাবে বানাতে পারলে ছোট-বড় সবাই-ই খেতে ভালোবাসবে। রেসিপি জেনে নেওয়া যাক চলুন।
যা যা লাগবে
- রসুন ২ কেজি
- সরষেবাটা ১ কাপ
- আদাবাটা ৩ টেবিল চামচ
- পাঁচফোড়ন পরিমাণমতো
- শুকনা মরিচ ২-৩টি
- হলুদের গুঁড়া
- মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ করে
- ভিনেগার বা লেবুর রস ২ কাপ
- সরষের তেল পরিমাণমতো
- চিনি স্বাদমতো
- লবণ পরিমাণমতো।
যেভাবে বানাবেন
সরষেবাটা ও আদাবাটা লেবুর রস বা ভিনেগার দিয়ে গুলিয়ে একটি পাত্রে রেখে দিন। তারপর চুলায় কড়াই বসিয়ে সরষের তেল দিন। তেল গরম হলে শুকনা মরিচও পাঁচ ফোড়ন দিয়ে দিন। ফোড়ন দেওয়ার পর চুলার আঁচ কমিয়ে দিন।
তারপর আদা ও সরষেবাটা, হলুদ-মরিচের গুঁড়া তেলে ঢেলে দিয়ে নাড়তে থাকুন। ভালোভাবে পেস্টটি মিশে গেলে রসুনগুলো ঢেলে দিয়ে আঁচ বাড়িয়ে নাড়তে থাকুন। তেল ও মসলা ফুটে এলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। রসুন সেদ্ধ হয়ে এলে আঁচ কমিয়ে দিন।
এবার স্বাদমতো চিনি ও লবণ দিন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন যাতে লেগে না যায়। ঝোল শুকিয়ে এলে তেল ছেড়ে দেবে। তেল ছাড়ার ২ মিনিট পর নামিয়ে ফেলুন। এরপর আচার ঠান্ডা হলে কাঁচের পাত্রে তুলে রাখুন। মাঝে মাঝে রোদে দিলে ভালো থাকবে।