• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

ত্বকের রূপচর্চায় যেসব ভুলেও করবেন না


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
ত্বকের রূপচর্চায় যেসব ভুলেও করবেন না
ছবি: সংগৃহীত

ঘরেই রূপচর্চা করা ভালো। নিয়মিত পার্লারে গিয়ে রূপচর্চা করার সময় না থাকলে ঘরের উপাদান দিয়েই চুল ও মুখের যত্ন নিতে পারেন। তবে রূপচর্চা করলেই হবে না। এর সঠিক নিয়ম আর পদ্ধতিও জানতে হবে। মুখে কী মাখছেন, এর প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে তা জেনেই রূপচর্চা করুন। কারণ ত্বকের পরিচর্যায় ভুলভ্রান্তি হলে তা মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এই গরমে ত্বকের যত্নে নিয়মিতই পরিচর্যা করতে হয়। কিন্তু কিছু জিনিস ত্বকে একেবারেই মাখবেন না। কারো কথায় কিংবা কোনো ভিডিও বা প্রচারণা দেখেই ত্বকের যত্নে যেকোনো কিছু ব্যবহার করা ঠিক নয়। সঠিক ধারণা নিয়েই এই গরমে ত্বকের যত্ন করুন।


পাতিলেবুর রস

মুখের কালো দাগছোপ তুলতে ঘরেই রূপচর্চা করছেন অনেকেই। এক্ষেত্রে পাতিলেবুর রস মুখের ত্বকে ব্যবহার করেন। কিন্তু সরাসরি লেবুর রস মুখে লাগানো যাবে না। এতে ত্বকে জ্বালাপোড়া বাড়বে। কারণ পাতিলেবুর রসের অ্যাসিড ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি করে। যা দাগকে আরও গাঢ় করে তোলে। তাই ত্বকে সরাসরি লেবুর রস ব্যবহার না করে,  ফেসপ্যাকের মাধ্যমে সামান্য ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই ত্বকের ধরণ বুঝে লেবুর রস ব্যবহার করুন।

বেকিং সোডা

বেকিং সোডা রান্নার কাজে লাগে। এটি দিয়ে অনেকে রূপচর্চাও করেন। ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে বেকিং সোডা লাগান। এটি খুবই মারাত্মক হতে পারে। বেকিং সোডা সরাসরি মুখে লাগালে ত্বকের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্বক খসখসে হয়ে যায়।


গরম পানিতে মুখ ধোয়া

গরমে উষ্ণ গরম পানিতে মুখ ধোয়া ঠিক হবে না। ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। গরম পানিতে মুখ ধুলে ত্বকের লাবণ্যতা হারিয়ে যাবে। ত্বক রুক্ষ হবে। রূপচর্চার পরে ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে পারেন। কিন্তু কোনোভাবেই গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না।

 

দাঁতের মাজন ব্যবহার করা

অনেককেই ঘরেই ব্রণ বা ফুসকুড়ির সমস্যা থেকে বাঁচতে দাঁত মাজার  মাজন লাগিয়ে রাখেন। মুখে ফোড়া হলেও লাগিয়ে নেন। এটা  একেবারেই ঠিক নয়। ত্বকে মাজন লাগালে, মেলানিনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। তাই ত্বকে যেখানে মাজন লাগিয়ে রাখা হয়, সেই অংশটি পুড়ে কালো হয়ে যেতে পারে।


মেয়াদউত্তীর্ণ প্রসাধনী

ত্বকে কিছু ব্যবহারের আগে অবশ্যই মেয়াদ দেখে নিন। হয়তো অনেক দিন ধরেই একই প্রসাধনী ব্যবহার করছেন। কিন্তু এর মেয়াদ শেষ হয়েছে কিনা তা খেয়ালও করেননি। তাই পুরোনো প্রসাধনী ব্যবহারের আগে মেয়াদ আছে কিনা দেখে নিন। মেয়াদ উত্তীর্ণ ময়েশ্চারাইজ়ার হোক বা সানস্ক্রিন লাগালে ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে।

Link copied!