বর্ষা মৌসুমে গ্রামাঞ্চলে সাপের আতঙ্ক বেড়ে যায়। প্রত্যেক বছর আমাদের দেশে বহু মানুষের মৃত্যু হয় সাপের কামড়ে। তবে সাপে কামড়ালে অধিকাংশ মানুষেরই যে ভয়ে মৃত্যু হয় এ কথা অনেকেরই জানা। এখনো অনেক গ্রামে কুসংস্কার আছে, সাপে কাটলে ওঝা বা বেদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। মানুষ তাই সাপে কামড়ালে চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে ওঝার কাছে নিয়ে যায়। এরকম আরও বহু কুসংস্কার আছে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে রোগীর বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, শুধু সঠিক জ্ঞানের অভাবে মারা যান। তাই জেনে নিন সাপে কামড়ালে কী কী করবেন না-
- সাপে কামড়ালে একটি ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে অনেকে কামড় দেয়া স্থানে শক্ত দড়ি দিয়ে বাঁধেন। তারা মনে করেন, বিষ এতে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না। আসলে এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বরং এ রকম শক্ত করে বেঁধে ফেলায় জায়গাটিতে রক্ত চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়ে টিস্যুতে পচন শুরু হতে পারে।
- অনেকেই সাপে কামড়ানোর ক্ষতের পাশে কিছুটা জায়গা চিরে বা কেটে দেন। ভাবেন, এতে ক্ষতে থাকা বিষ বেরিয়ে যাবে। একেবারেই ভুল ধারণা। বরং এমন করলে রক্তে আরও দ্রুত বিষ ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায়। এতে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
- চিকিৎসার জন্য ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া যাবে না।
- গাছ-গাছড়ার রস কিংবা উদ্ভিদের বীজ বা গোবর দিয়ে প্রলেপ দেওয়া যাবে না
- চিকিৎসক দেখার আগ পর্যন্ত কিছু খাওয়া উচিত না
- অনেক মানুষের ধারণা, আক্রান্ত স্থানে মুখ লাগিয়ে চুষে বিষ বের করলে রোগী ভালো হয়ে যাবেন। বিষ রক্ত ও লসিকার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা এভাবে বের করা সম্ভব নয়। কোনো অবস্থাতেই আক্রান্ত স্থানে মুখ দেবেন না।
- কোন মলম বা রাসায়নিক পদার্থ লাগানো বা তা দিয়ে সেঁক দেওয়া যাবে না।
- ব্যাথার জন্য অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো যাবে না।
না জেনে আমরা এমন কিছু কাজ করি, যা রোগীর জন্য ক্ষতিকর হয়ে যায়। তাই কোনও রকম কুসংস্কারকে প্রশ্রয় না দিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।