মানুষের মতো অনুভূতি ব্যক্ত করতে পারে না বলে এই নয় যে, পোষা প্রাণীটির কোনো অনুভূতি নেই। পশুচিকিৎকেরা বলছেন, মনখারাপ হতে পারে আপনার পোষা প্রাণীরও। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার পরেও অন্যান্য দিনের মতো যদি তার স্বাভাবিক আচরণ দেখতে না পান। যেমন, আপনাকে দেখা মাত্রই ছুটে আসছে না বা অনেকবার ডাকার পরেও কোনো উচ্চবাচ্য করছে না, খাওয়ার বিষয়েও অনীহা দেখছেন, তাহলেই বুঝবেন অন্যকিছু নয়, তার মন খারাপ হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে যা করবেন-
শরীরচর্চা
প্রতিদিন একবার হলেও পোষা প্রাণীটিকে বাইরে নিয়ে যান ঘুরতে। যতক্ষণ সে বাইরে থাকে ততক্ষণই বিরামহীন নড়াচড়ার মধ্যে থাকে। এতেই তার শরীরচর্চা হয়ে যায়। এছাড়াও অনেকেই আছেন পোষা প্রাণীকে শরীরচর্চা করান। কিন্তু কোনো কারণে এক বা দুদিন বাদ পড়ে গেল। পশুচিকিৎকেরা বলছেন, এতে তার মন খারাপ হয়। তাই বাইরে ঘুরতে যেতে না পারলেও ছাদে বা বাড়ির বাগানে ঘুরতে নিয়ে যেতে পারেন অল্প সময়ের জন্য।
পোষা প্রাণীর মন না বোঝা
পোষা প্রাণীরা মানুষের মতো কথা বলতে পারে না ঠিক কিন্তু মুখে কিছু বলতে না পারলেও আচরণে বা নানা অঙ্গভঙ্গি দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চায়। কিন্তু তাদের ভাষা বুঝতে না পেরে যদি ক্রমাগত তাদের ওপর জোর করে যান, সে ক্ষেত্রে তাদের মন খারাপ হতেই পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, পোষা প্রাণীরও নির্দিষ্ট গণ্ডি থাকে। তার বাইরে গিয়ে কিছু করলে তাদেরও সমস্যা হয়। সে বিষয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
অকারণে শাসন করা
‘দ্য আমেরিকান কেনেল ক্লাব’ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, কোনো কারণে বকলেও পোষা প্রাণীদের মন খারাপ হতে পারে। বিশেষ করে যে কারণে পোষা প্রাণীকে শাসন করছেন, সেই বিষয়টি যদি বুঝতে না পারে, তাহলে মন খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাই অনেক বেশি বকাঝকা করবেন না।