একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে চলে ট্রেন। ট্রেন যাত্রা খুবই আরামের হয়। যাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত যাত্রায় প্রথমেই থাকে ট্রেন। এমনকি অনেকে উড়োজাহাজ যাত্রাকে বাদ দিয়ে ট্রেন ভ্রমণ করতেই বেশি পছন্দ করেন। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্য দেখতে দেখতে ভ্রমণ করা যায় এই বাহনে। কয়েকটি বগি মিলিয়ে একাধারে ছুটে চলে বিশাল ট্রেনগুলো। সাধারণত বড়, লম্বা বগির ট্রেন দেখেই আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু জানেন কি, ছোট ট্রেনও রয়েছে। যেখানে সাড়িবদ্ধ হয়ে ওঠার অপেক্ষায় থাকে যাত্রীরা।
লস অ্যাঞ্জেলস ফ্লাইট রেলওয়ের রেলপথে চলে ছোট এই ট্রেনটি। যার নাম ‘অ্যাঞ্জেলস ফ্লাইট’। এটি বিশ্বের সব থেকে ছোট রেলপথ। এই রেলপথেই চলে মাত্র দুই বগিওয়ালা ছোট ট্রেন। এর যাত্রাও শেষ হয় মাত্র ১ মিনিটেই।
সম্প্রতি জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এই ট্রেনের কথা উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, লস অ্যাঞ্জেলসের দুটি জায়গা থেকে অ্যাঞ্জেলস ফ্লাইট ট্রেনটি চালানো হয়। যার মাত্র দুটি বগি রয়েছে। হিল স্ট্রিট এবং অলিভ স্ট্রিটকে লস অ্যাঞ্জেলেসের তৃতীয় রাস্তার টানেলের সঙ্গে সংযুক্ত করে ট্রেনটি চলাচল করে। ১৯০১ সালে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের বন্ধু কর্নেল জেডব্ল– এডি এ ট্রেন চালু করেন। এ রেল কোচ ৩৩ ডিগ্রি ঢালে উঠতে পারে। ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত একটানা চলেছে এই ট্রেন। প্রায় ৫০ বছরের সময়কালে ১০ কোটিরও বেশি যাত্রীকে গন্তব্যে পৌছে দিয়েছে এই ট্রেনটি।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, অ্যাঞ্জেলস ফ্লাইট ট্রেনটি অলিভ স্ট্রিট স্টেশনে পৌঁছালে একটি ঢালু জায়গায় ট্রেনটিকে টানা হয়। তবে ট্রেনটি নেমে যাওয়ার সময় কোচগুলো কেবল মধ্যাকর্ষণের ওপর নির্ভর করে সামনে এগিয়ে যায়।
ছোট এই ট্রেনটির চলাচল বেশ কয়েকবার বন্ধ হয়ে যায়। ২০০১ সালে বড় দুর্ঘটনার মুখে পড়ায় এটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২০১০ পর্যন্ত বন্ধই ছিল। এরপর ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চলে। ওই বছর একটি কোচ লাইনচ্যুত হওয়া ২০১৭ সাল পর্যন্ত ট্রেনটিকে বন্ধ করে রাখে স্থানীয় সরকার। পরবর্তী সময়ে এই ট্রেনটি শুধু পর্যটকদের বিনোদনের জন্যই ব্যবহার করা হতো। লস অ্যাঞ্জেলস শহরে আসা পর্যটকরা ট্রেনটিতে ভ্রমণের সুযোগ পান। যা এখনও অন্যতম আকর্ষণ হয়ে রয়েছে।