• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পৃথিবীর শেষ রাস্তা কোথায়, জানেন কি?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৬:০০ পিএম
পৃথিবীর শেষ রাস্তা কোথায়, জানেন কি?
ছবি: সংগৃহীত

সব পথেরই শেষ রয়েছে। তেমনই পৃথিবীরও শেষ পথ রয়েছে। জানেন কি, এই শেষ পথ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে? পৃথিবীর শেষ রাস্তা কোথায়- তা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। বিশেষ করে ভ্রমণপ্রিয় মানুষরা সেই রাস্তার সন্ধানে থাকেন। সেই রাস্তা গতিপথ দুর্গম হলেও সেখানে পৌঁছানো কিন্তু অসম্ভব নয়। বরং মানুষ চাইলেই কঠিন গন্তব্যকে জয় করতে পারে। তাই পৃথিবীর শেষ গন্তব্য দেখতে ছুটে যেতে পারেন ভ্রমণপিপাসুরা।

ইউরোপের ই-৬৯ হাইওয়ে হলো পৃথিবীর শেষ পথ। এটি নরওয়েতে অবস্থিত। এটি উত্তর ইউরোপের নর্ডক্যাপকে নরওয়ের ওল্ডারফিউওর্ড গ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে । যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১২৯ কিলোমিটার। ই-৬৯ পেরোতে পার হতে হয় পাঁচটি টানেল। এর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ টানেল হলো নর্থ কেপ। যার দৈর্ঘ্য প্রায় সাত কিলোমিটার।

পৃথিবীর শেষ রাস্তাটি উত্তর গোলার্ধে অর্থাৎ নিরক্ষ রেখার উপরের দিকে। উত্তর মেরুর গা ঘেঁষে চলে গেছে এই পথ। পৃথিবীর সেই শেষ সীমানা দীর্ঘ এক পথ। যা আলো-অন্ধকারে ঘেরা, বরফে ঢাকা। দুর্গম পথ। পৃথিবীর  রাস্তা এখানেই শেষ। এরপর আর যাওয়ার জায়গা নেই। সেই পথে একা যাওয়ায় সতর্কতা রয়েছে। কারণ যেকোনো সময়েই যেকোনো বিপদ হতে পারে সেখানে।

এই পথ গিয়ে পৌঁছেছে সমুদ্রতলের প্রায় ২১২ মিটার গভীরে। এই পথের দুই পাশে রয়েছে অপূর্ব সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য। সঙ্গে সমুদ্রের ঢেউ আর বরফ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পথে ভয়ানক গতিতে বাতাস বয়ে যায়। যা অত্যন্ত ঠাণ্ডা। সেখানকার আবহাওয়াও অনিশ্চিত। গ্রীষ্মকালেও বরফ পড়ে। সমুদ্র উপকূল সংলগ্ন হওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়। শীতের সময় সেই রাস্তা বরফে ঢেকে যায়।

জানা যায়, ১৯৩০ সালে নরওয়ের ই-৬৯ মহাসড়কটি তৈরির পরিকল্পনা হয়। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় ১৯৩৪ সালে। ১৯৯২ সালে এই পথ তৈরি সম্পন্ন হয়। এই রাস্তার বর্তমান দৈর্ঘ্য ১২৯ কিলোমিটার। সড়কটি আরও বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই কর্তৃপক্ষের। তাই এখানেই গিয়ে ঠেকেছে পৃথিবীর শেষ পথ।

Link copied!