১০ ফেব্রুয়ারি ‘টেডি ডে’। ভালোবাসা সপ্তাহের চতুর্থ দিন এটি। এই দিনে প্রিয় মানুষকে টেডি বিয়ার উপহার দিয়ে ভালোবাসার প্রকাশ করা হয়।ভালবাসার উপহার হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় টেডি বেয়ার। প্রেমিক-প্রেমিকাকে টেডি উপহার দিলে সম্পর্কে উষ্ণতা বা়ড়ে। আবার শিশুদেরও দারুণ পছন্দ টেডি বেয়ার।
কিন্তু কেন এই হ্যাপি টেডি ডে পালিত হয় জানেন?কীভাবে এর জন্ম হলো?
১৯০২ সালের নভেম্বর মাসে মিসিসিপিতে শিকারে বের হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্ট। অনেকক্ষণ খুঁজেও ভালো শিকার পাননি। ওই সময় মিসিসিপি ও লুসিয়ানিয়ার সীমান্ত সমস্যা নিয়ে তিনি জর্জরিতও ছিলেন। তাই প্রেসিডেন্টকে খুশি করতে সঙ্গীরা এক লুসিয়ানিয়া কালো ভল্লুক ছানা ধরে আনেন। কিন্তু গাছের গুঁড়িতে বেঁধে রাখা ভাল্লুক ছানার উপর গুলি চালাতে রাজী ছিলেন না রুজভেল্ট। তিনি ভাল্লুক ছানার শিকার না করে ছেড়ে দেন।
‘ড্রইং দ্য লাইন ইন মিসিসিপি’ কার্টুনে এই গল্প তুলে ধরেন ওয়াশিংটন স্টার কার্টুনিস্ট ক্লিফর্ড বেরিম্যান। ছবিতে তিনি আঁকেন টেডি রুজভেল্ট রাইফেল হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তার পিছনে ছোট্ট এক ভল্লুক ছানা।
এই কার্টুন দেখে অনুপ্রাণিত হন ব্রুকলিনের খেলনার দোকানের মালিক মরিস মিচম। তিনি বানিয়ে ফেলেন মিষ্টি এক টেডি বেয়ার। তবে তা বিক্রি না করে দোকানের জানলার পাশে সাজিয়ে রাখেন। পাশে রাখেন বেরিম্যানের আঁকা কার্টুনের কপি। কিন্তু ক্রেতারা ওই টেডি কিনতেই ভিড় করেন দোকানে। মিচম ছুটে যান রুজভেল্টের কাছে। তার ও তার স্ত্রীর বানানো বেয়ার বিক্রির অনুমতি চান। সেই থেকেই জনপ্রিয় হতে থাকে প্রিয় টেডি বেয়ারের সফট টয়। ১৯০৩ সালে আইডিয়াল টয় কোম্পানির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় এবং তৈরি হতে থাকে টেডি বিয়ার।