নতুন পোশাক কিনতে সবাই পছন্দ করে। নতুন পোশাক কিনলে মনও ফুরফুরে হয়ে যায়। ছোট-বড় সবাই নতুন পোশাক পেলে যেন মনটাই ভালো হয়ে যায়। তাইতো মন খারাপ থাকলেই শপিংয়ে বের হয়ে যান অনেকে। পোশাক কেনার সময় যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে সঠিক মাপ। পোশাক সঠিক মাপের না হলে তা যতই সুন্দর হোক, পরলে ভালো লাগে না। বরং টাকা নষ্ট হবে! তাই পোশাক কেনার সময় সঠিক মাপের পোশাক কেনা জরুরি।
একেক জনের পোশাকের মাপ একেক রকম। তাইতো পোশাকের গায়েও মাপ লেখা থাকে। জামা-কাপড় কিনতে গেলে দেখা যায়, পোশাকের গায়ে এল, এম, এস, এক্সএল, এক্সএক্সএল এর মতো শব্দ ব্যবহার দেওয়া থাকে। এসব শব্দ পোশাকের মাপ নির্ধারণ করে। যা ক্রেতার কেনাকাটায় সুবিধে হয়। তবে অনেকেই এসব শব্দের সঠিক অর্থ জানেন না। কিন্তু ভালো ক্রেতা হতে হলে এই বিষয়ে ধারণা থাকা জরুরি।
সাধারণত পোশাকের গায়ে L , S এবং M লেখা থাকলে বড়, ছোট এবং মাঝারি সাইজ বোঝায়। এটা কমবেশি অনেকেই জানেন। কিন্তু X কিংবা XXL মানে কী বোঝায় জানেন? প্রকৃতপক্ষে, X মানে হচ্ছে অতিরিক্ত। অর্থাৎ সাইজের ক্ষেত্রে এই XL মানে হচ্ছে Extra Large বা অতিরিক্ত বড় বোঝায়। আর XXL শব্দের অর্থ হচ্ছে Extra Extra Large বা সবচেয়ে বড় সাইজকে বোঝানো হয়।
সংখ্যায় বোঝাতে গেলে XL আকারের শার্ট ৪২ ইঞ্চি থেকে ৪৪ ইঞ্চির মধ্যে সাইজ ধরা হয়। একইভাবে, XXL শার্ট বা পোশাকের ক্ষেত্রে, আকার সাধারণত ৪৪ ইঞ্চি থেকে ৪৬ ইঞ্চির মধ্যে হয়। একইভাবে S মানে ছোট ৩৬, XS মানে Extra Small ৩৪, M মানে Medium ৩৮ এবং L মানে Large 40 সাইজকে বোঝায়। পোশাকের এই মাপ পুরুষ এবং নারী উভয়েরই ক্ষেত্রেই কোড হিসেবে ব্যবহার হয়।
সাধারণত সব ধরণের পোশাকেই এই মাপ অনুসরণ করা হয়। কিছু কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে এই পরিমাপ বাড়তে বা কমতে পারে। তবে এই পার্থক্য খুবই কম।