অনেক বাইক চালক আছেন যারা বাইক থামানোর সময় প্রথমে ব্রেক না ক্লাচ চাপতে হবে, সেটাই বুঝে উঠতে পারেন না অনেকে। এটা নির্ভর করে পরিস্থিতির উপর। অর্থাৎ বাইক চালক কোথায় ব্রেক লাগাচ্ছেন, কেন ব্রেক লাগাচ্ছেন, ব্রেক চাপার সময় বাইকের গতি কত এবং বাইকটি কোন গিয়ারে রয়েছে। এই সব পরিস্থিতির উপরেই নির্ভর করবে ব্রেক ও ক্লাচের ব্যবহার। যেমন—
প্রথম পরিস্থিতি
ধরা যাক, বাইক চালক যানজটে আটকে পড়েছেন অথবা বাইকের সামনে কোনও প্রাণী বা মানুষ চলে এসেছে কিংবা সামনের গাড়িটি থেমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাইকটিকে থামিয়ে দিতে হবে। ফলে এক্ষেত্রে প্রথমে ক্লাচ এবং তারপর ব্রেক টিপতে হবে। এতে বাইক থেমে যাবে, অথচ পুরোপুরি বন্ধও হবে না।
দ্বিতীয় পরিস্থিতি
প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালানো অবস্থায় যদি বাইক না থামিয়ে শুধুমাত্র বাইকের গতি কমাতে হয়, তাহলে ব্রেকে চাপ দিতে পারেন তিনি। এরপরে ক্লাচ প্রয়োগ করে গিয়ারটি ডাউনশিফ্ট করা যেতে পারে। বাইকের গতি কম রাখাই ভালো।
তৃতীয় পরিস্থিতি
বাইক আরোহী প্রতি ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে যাচ্ছেন। এই সময় কোনও কারণে তিনি যদি প্রতি ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার গতি কমাতে চান, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে ক্লাচে চাপ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই পরিস্থিতিতে আলতো করে ব্রেক কষার পরে থ্রটল ব্যবহার করে বাইকটিকে একই গতিতে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।
চতুর্থ পরিস্থিতি
এটা একটা জরুরি অবস্থা হতে পারে। ধরা যাক, আরোহী জনবহুল এলাকায় অথবা হাইওয়েতে আছেন কিংবা বেশি অথবা কম গতিতে বাইক চালাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে যদি হঠাৎ বাইক থামাতে হয়, তাহলে তিনি একই সঙ্গে ক্লাচ এবং ব্রেক দুইই ব্যবহার করতে পারেন।