• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিয়ের আগেই যেসব আলোচনা করা জরুরি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৪, ০৪:৪২ পিএম
বিয়ের আগেই যেসব আলোচনা করা জরুরি
ছবি: সংগৃহীত

বিয়ে দুটি মানুষের মধ্যে বন্ধনকে জোড়ালো করে। সারাজীবন একসঙ্গে থাকার ভরসা, প্রতিশ্রুতি কতকিছুই জড়িয়ে থাকে। বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া সাহসের ব্যাপার। আর উপযুক্ত  জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়া চ্যালেঞ্জের বিষয়। কারণ বিয়ের পর ওই মানুষটির সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করতে হবে। সবকিছু মানিয়ে নিতে হবে। বলা যায়, সব পরিস্থিতিতে সবকিছু মেনে নিতে হবে। তাই জীবনসঙ্গী বাছাইয়ের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আগের দিনে পরিবার থেকে সঙ্গী বাছাই করে দিত। এরপর বিয়ের মাধ্যমে তারা সারাজীবন একসঙ্গে থাকতেন। অনেকের তো বিয়ের আগে মুখ দেখাদেখিও হতো না। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। সঙ্গী বেছে নেওয়ার সুযোগ এখন প্রত্যেকেরই আছে। দেখা করা, কথা বলা এমনকি ভালো খারাপ লাগার বিষয়গুলো একে অপরকে জানানোর সুযোগও রয়েছে এখন। তাই জীবনসঙ্গী বেছে নিতে এখন আরও বেশি সতর্ক থাকতে হয়। বিয়ের আগেই জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কিছু বিষয়ে আলাপ করে নেওয়া জরুরি। এতে বোঝাপড়াটা ভালো হবে। বিয়ের পর দুজন দুজনকে বুঝতেও সহজ হবে।

বিয়ের আগেই সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করে নিলে একে অপরের আশা, স্বপ্ন এবং প্রত্যাশা সম্পর্কে জানা যায়। তাই সুখী দাম্পত্যজীবনের জন্য সঙ্গীর সঙ্গে বিয়ের আগেই আলোচনা করে নিন এসব বিষয়ে_

  • সারাজীবন একসঙ্গে থাকবেন। পারস্পরিক প্রতিক্রিয়াগুলো জেনে নিন। দ্বন্দ্ব, মতবিরোধ কিংবা ঝগড়ার সময় কে কেমন প্রতিক্রিয়া করেন তা জেনে রাখুন।
  • সম্পর্কের বোঝাপড়াটা কেমন হবে, কে কতটুকু সহানুশীল এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ কতটা থাকতে পারে সেই সম্পর্কেও ধারণা পেতে পারেন।
  • নিজেদের কোনো অভ্যাস থাকলে তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। সেই অভ্যাসে নিজেদের কতটা মানিয়ে নিতে পারবেন তা ভেবে দেখুন।
  • বিয়ের পর সঙ্গীর কাছে আপনার প্রত্যাশা কেমন হবে তা জেনে নিন। প্রতিশ্রুতি কেমন হবে এবং কোয়ালিটি টাইম কীভাবে কাটাতে পছন্দ করেন তাও আলাপ করে নিতে পারেন।
  • সঙ্গীর অনুভূতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি মনোযোগ দিয়ে শুনুন। সঙ্গীর মানসিকতা সম্পর্কে ধারণা হয়ে যাবে।
  • সঙ্গী দাম্পত্য জীবনে পার্সোনাল স্পেস পছন্দ করেন কিনা জানুন। পারস্পরিক সুখী এবং পরিপূর্ণ সম্পর্কের জন্য পার্সোনাল স্পেস থাকা জরুরি। সঙ্গীকে জানিয়ে রাখুন। নিজের মতো করে সময় কাটাতে কারোই আপত্তি নেই এই বিষয়ে সম্মতি দিন।
  • নিজেদের পছন্দ বা ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিলে কিনা পরখ করে নিন। যদি না মেলে তবে বিয়ে পর্যন্ত না গড়ানোই ভালো। এতে পরবর্তী সময়ে আপনাকে বা সঙ্গীকে সেক্রিফাইস করতে হবে।
  • সঙ্গীর সঙ্গে আর্থিক বিষয়েও আলাপ করে নিন। আয়, ঋণ, সঞ্চয় এবং ব্যয় সব বিষয়েই খোলামেলা কথা বলুন। আর্থিক বিষয়ে আপনার পরিকল্পনাগুলো শেয়ার করুন। সঙ্গীর মতামত জানুন। আর্থিক স্বচ্ছলতা সম্পর্ককে মজবুত করবে। সঙ্গীর চাহিদা বেশি থাকলে এবং আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী তা পূরণ সম্ভব না হলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভাবুন।
  • বিয়ের পর পরিবার পরিকল্পনা কেমন হবে তার বিস্তারিত আলাপ বিয়ের আগেই সেরে নিন। সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয়ে দুজনেরই একমত হতে হবে। কখন সন্তান নেবেন, কয়টি সন্তান নেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে সে বিষয়েও সঙ্গীর সঙ্গে আলাপ করে নিতে পারেন। এতে দাম্পত্য জীবন গুছিয়ে নিতে সুবিধে হবে।
Link copied!