গ্রীষ্মের মৌসুমে কাঁচা আমের টক-মিষ্টি স্বাদ যেন মনকে আরও প্রানবন্ত করে। এই সময় কাঁচা আমের আচার দেওয়ার ধুম পড়ে। কুঁচানো আমের আচার যেন সবার প্রিয়। সহজ প্রক্রিয়া, মজাদার স্বাদ আর দীর্ঘদিন সংরক্ষণের সুবিধার রয়েছে এই আচারে।
কাঁচা আমের কুচানো আচার শুধুমাত্র স্বাদের জন্য নয়, পুষ্টিগুণের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা আমে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ বেশি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
কাঁচা আমের কুঁচানো আচার বানাতে যা যা লাগবে
- কাঁচা আম – ১ কেজি (সবুজ, টক স্বাদের)
- লবণ – স্বাদমতো
- হলুদ গুঁড়ো – ২ চা চামচ
- শুকনো মরিচ গুঁড়ো – ৩ টেবিল চামচ
- সরিষা গুঁড়ো – ২ টেবিল চামচ
- মেথি গুঁড়ো – ১ চা চামচ
- মৌরি গুঁড়ো – ১ চা চামচ
- কালোজিরা – ১ চা চামচ
- ভিনেগার – ৩ টেবিল চামচ
- সরিষার তেল – ২ কাপ
- চিনি – ১/২ কাপ
যেভাবে বানাবেন
আমগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। শুকিয়ে নিন যেন কোনো জল না থাকে। খোসা ছাড়িয়ে আমগুলো পাতলা কুচি করুন। বড় বাটিতে নিয়ে লবণ এবং হলুদ মিশিয়ে রাখুন। এইভাবে ৪-৫ ঘণ্টা রেখে দিন। আম থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে আসবে। বের হওয়া পানি ঝরিয়ে ফেলুন। হালকা রোদে শুকিয়ে নিন।
এবার শুকনো মরিচ, মেথি, মৌরি আলাদাভাবে হালকা ভেজে গুঁড়ো করে নিন। সরিষা গুঁড়ো আগে থেকেই ব্যবহারযোগ্য থাকলে সেটি আলাদা রাখুন। কালোজিরা শুকনোভাবেই ব্যবহার করা হবে।
সরিষার তেল চুলায় ভালোভাবে গরম করে নিন। তেল ফুটে উঠলে নামিয়ে নিন এবং ঠান্ডা হতে দিন। এতে কাঁচা গন্ধ চলে যাবে।
একটি বড় পাত্রে আমের কুচির সঙ্গে শুকনো মশলা (শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, মেথি গুঁড়ো, মৌরি গুঁড়ো, সরিষা গুঁড়ো, কালোজিরা) মিশিয়ে নিন। এরপর ঠান্ডা সরিষার তেল যোগ করুন। ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার ভিনেগার এবং চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন।
এবার পরিষ্কার এবং শুকনো কাঁচের বয়ামে আচার ঢেলে দিন। মুখ ভালোভাবে বন্ধ করে দিন। বয়ামটি প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা রোদে রাখুন ৫-৭ দিন। মাঝে মাঝে বয়াম নাড়িয়ে দিন যাতে মশলা আর তেল ভালোভাবে মিশে যায়। রোদের তাপে তেল ও মশলা আমের মধ্যে মিশে গিয়ে এক অতুলনীয় স্বাদ তৈরি করে।
টিপস
বয়াম এবং চামচ অবশ্যই শুকনো হতে হবে। পানি লাগলে আচার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ইচ্ছা করলে একটু কিশমিশ বা বাদামও মেশাতে পারেন স্বাদের বৈচিত্র্য আনতে।